K K Last Ride: রইলেন সতীর্থ, অনুরাগীরা..সুরে আর ভেজা চোখে কে কে-কে বিদায় জানাল মায়ানগরী
মাত্র কয়েকদিন আগেই যখন কলকাতায় পা রেখেছিলেন তিনি, তখন তাঁর মুখে চিরপরিচিত সেই হাসিটা লেগে। কত পরিকল্পনা, রিহার্সাল.. লক্ষ্য একটাই, দর্শকদের মন জয়। দীর্ঘ অনুশীলন, গানের তালিকা.. তারপর মঞ্চে উঠলেন কে কে। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল কলকাতার নজরুল মঞ্চ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদেড় ঘণ্টার অনুষ্ঠান, একের পর এক ২০টা গান.. জনতা ভাবতে পারেননি, মঞ্চ আর দর্শকদের মনে রাজ করছেন যিনি, আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি থাকবেন না?
সুরলোকে হারিয়ে গেলেন কে কে (Krishnakumar Kunnath)। হঠাৎ। আকস্মিক। পড়ে রইল অসমাপ্ত জীবন আর অনেক প্রশ্ন। অবহেলা? বিশৃঙ্খলা? রাজনীতি? উত্তর নেই এখনও।
৩১ তারিখ রাতে হঠাৎ দুঃসংবাদ। কে কে নেই! বিদ্যুৎতের বেগে ছড়িয়ে পড়ল খবর। কে কে নেই! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়, সংবাদমাধ্যম জুড়ে শুধুই কে কে-র প্রয়াণের খবর।
১ তারিখ সারা রাত সিএমআরআইতেই রাখা থাকে সঙ্গীতশিল্পীর মরদেহ। পরেরদিন সকালে কলকাতা এসে পৌঁছন কে কে-র স্ত্রী আর ছেলে মেয়ে। বিমানবন্দর থেকেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। তারপর চলে পোস্টমর্টেম। পোস্টমর্টেমের পরে কে কে-র দেহ নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রসদন চত্বরে। উপস্থিত ছিলেন কে কে-র পরিবার থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের বিশিষ্টরা। গান স্যালুটে প্রিয় গায়ককে শেষ সম্মান দেয় কলকাতা।
বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ কফিনবন্দি কে কে-র দেহ নিয়ে মুম্বই উড়ে যায় পরিবার। শেষবারের মতো পার্ক প্লাজায় যান কে কে। তাঁর বাসস্থানে। যে বাড়িতে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পরিবারের সঙ্গে কত আনন্দের মুহূর্ত কাটিয়েছেন তিনি, শেষবারের মতো সেখানেই ফিরলেন কে কে। কেবল কফিনবন্দি হয়ে। সারা রাত সেই আবাসনেই ছিল কে কে-র মরদেহ।
আজ বেলার দিকে মুম্বইয়ের ভারসোভার শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কে কে-র। উপস্থিত ছিলেন কে কে-র অজস্র অনুরাগী থেকে শুরু করে মুম্বইয়ের বহু শিল্পী।
ফুলে মোড়া কে কে-র দেহকে শেষবারের মতো বিদায় জানানো হয় গানে গানে। মোমবাতি হাতে অনুরাগীদের সুরে, চোখের জলে, আবেগে মিশে গেলেন কে কে।
আজ কে কে-র শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য সহ একাধিক সঙ্গীতশিল্পী
মনে রয়ে গেল তাঁর হাসি লেগে থাকা মুখ আর এক সুরেলা রূপকথা। কে কে যত্নে রয়ে গেলেন হাজার হাজার মানুষের মনের মণিকোঠায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -