KK Demise: কীভাবে সঙ্গীতজগতে পা রেখেছিলেন সদ্য প্রয়াত গায়ক কে কে?
সঙ্গীত জগতে শোকের ছায়া। প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক কেকে। কলকাতায় একটি গানের অনুষ্ঠান চলাকালীনই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। শরীর খারাপ অনুভব করায় হোটেলেও ফিরে যান।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু সেখানেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার (Ultadanga) গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের (Krishnakumar Kunnath)। বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন।
মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর সূত্রের। সূত্রের খবর, মঞ্চেই নাকি কেকে বারবার জানাচ্ছিলেন তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। স্পটলাইট অফ করতে বলছিলেন। হোটেলে ফিরে যান তিনি, সেখানে আরও অসুস্থ হওয়ার পর ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যখন তাঁকে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। পরে তাঁকে পরীক্ষা করে বলা হয় তিনি মারা গিয়েছেন। এখন হাসপাতালে পৌঁছচ্ছেন হাসপাতালের প্রবীণ চিকিৎসকরা। যাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা হাসপাতালে উপস্থিত রয়েছেন।
১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য 'জোশ অফ ইন্ডিয়া' গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৯১ সালে ছোটবেলার ভালোবাসা জ্যোতিকে বিবাহ করেন কেকে। সদ্য প্রয়াত গায়ক কেকের পুত্র নকুল কৃষ্ণ কুন্নাথ তাঁর অ্যালবাম 'হামসফর'-এ একটি গান গেয়েছেন। তাঁর এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।
কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমার ছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের প্রেরণা। তাঁকে দেখেই মূলত সঙ্গীত জীবনে আসেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কেকে জানান, তিনি আর.ডি বর্মন, মাইকেল জ্যাকসন এবং আরও বেশ কয়েকজন হলিউড গায়কের অনুরাগী ছিলেন।
দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর মাস ছয়েকের জন্য মার্কেটিং এক্সিকিউটিভের কাজ করেন কেকে। এর কয়েক বছর পর ১৯৯৪ সালে তিনি মুম্বই পাড়ি দেন বলিউডে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে।
বলিউডে কাজের সুযোগ পাওয়ার আগে ১১টি ভাষায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার জিঙ্গলস গেয়েছেন কেকে। এ.আর রহমানের হিট গান 'কাল্লুরি সালে'তে প্রথমবার গান গান কেকে। সেটিই ছিল প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে গাওয়া তাঁর প্রথম গান। কেবলমাত্র হিন্দি গানই নয়, কেকে গান গেয়েছেন একাধিক ভাষায়।
কেকের কথা উঠলেই অনুরাগীদের মনে ভেসে ওঠে 'দিল ইবাদত', 'তড়প তড়প', 'আঁখো মে তেরি', 'জারা সা', 'খুদা জানে', 'তু যো মিলা' এবং আরও অনেক অনেক গান। শোকে বিহ্বল বিনোদন জগত। ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন অনুরাগীরা। এভাবে গানের অনুষ্ঠানে অসংখ্য শ্রোতাদের আনন্দ দিয়ে তিনি নিজেই যে না ফেরার দেশে চলে যাবেন, তা ভাবতে পারছেন না কেউ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -