Lata Mangeshkar Record: ২০ ভাষায় ৩০ হাজারের বেশি গান, লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে কখনও চোখে জল আসে তো কখনও মুখে হাসি
ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকর হলেন ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সম্মানিত গায়িকা যাঁর ছয় দশকের কার্যকাল সাফল্যে পরিপূর্ণ। লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠ ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে সঙ্গীত জগতকে মাতিয়ে রেখেছে। ভারতের 'কোকিল' লতা মঙ্গেশকর ২০টি ভাষায় প্রায় ৩০ হাজার গান গেয়েছেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appলতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠ শুনে কখনও কারও চোখে জল আসে, আবার কখনও সীমান্তে দাঁড়ানো সৈন্যরা ভরসা পান। লতা মঙ্গেশকর এখনও একা, তিনি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সঙ্গীতে নিয়োজিত করেছেন। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে নেপথ্য গায়িকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর বোন আশা ভোঁসলের পাশাপাশি, লতাজির অনেক বড় অবদান রয়েছে সিনেমার গানে।
কুমারী লতা দীনানাথ মঙ্গেশকর ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৯ সালে ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর একজন দক্ষ থিয়েটারের গায়ক ছিলেন। লতার পাঁচ বছর বয়সে বাবার কাছেই গান শেখার হাতেখড়ি। তাঁর বোন আশা, ঊষা ও মীনাও তাঁর কাছে শিখতেন। লতা অমন আলি খান সাহেব এবং পরে অমানত খানের কাছেও পড়াশোনা করেছেন।
লতা মঙ্গেশকর সর্বদা ঈশ্বরের সুরেলা কণ্ঠস্বর, প্রাণবন্ত অভিব্যক্তি দ্রুত বোঝানোর অবিশ্বাস্য ক্ষমতার উদাহরণ। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণেই তাঁর এই প্রতিভা খুব তাড়াতাড়ি স্বীকৃতি পায়।
পাঁচ বছর বয়সে তিনি প্রথম নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পান। শুরুটা নিশ্চয়ই অভিনয় দিয়ে, কিন্তু তাঁর আগ্রহ ছিল শুধু গানে।
১৯৪২ সালে তাঁর বাবা মারা যান। এই সময়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩। নবযুগ চিত্রপট ফিল্ম কোম্পানির মালিক এবং তাঁর বাবার বন্ধু মাস্টার বিনায়ক (বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি) তাঁর পরিবারের যত্ন নেন এবং লতা মঙ্গেশকরকে একজন গায়িকা ও অভিনেত্রী হতে সাহায্য করেন।
লতাজিকে নিজের জায়গা করে নিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। পাতলা কণ্ঠের কারণে অনেক সঙ্গীত পরিচালক প্রথমে তাঁকে কাজ দিতে রাজি হননি। তাঁকে সেই সময়ের বিখ্যাত নেপথ্য গায়িকা নূরজাহার সঙ্গে তুলনা করা হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি নিজের আবেগ এবং মেধার জোরে কাজ পেতে শুরু করেন। লতা মঙ্গেশকরের আশ্চর্যজনক সাফল্য তাঁকে ফিল্ম জগতের সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলা করে তোলে।
সর্বোচ্চ সংখ্যক গান রেকর্ড করার কৃতিত্বও রয়েছে গায়িকার। চলচ্চিত্রের গান ছাড়াও তিনি নন-ফিল্মি গানও গেয়েছেন। ১৯৪৫ সালে, ওস্তাদ গোলাম হায়দার লতাকে তাঁর আসন্ন চলচ্চিত্রের জন্য একটি প্রযোজকের স্টুডিওতে নিয়ে যান যেখানে কামিনী কৌশল প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। তাঁরা চেয়েছিলেন লতা সেই ছবিতে প্লেব্যাক করুন। কিন্তু তা হয়নি।
১৯৪৭ সালে, বসন্ত জোগলেকার লতাকে তাঁর 'আপকি সেবা মে' ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ দেন। এই ছবির গান নিয়ে তুমুল আলোচিত হন লতা। এর পরে, লতা 'মজবুর' ছবির 'অংরেজি ছোরা চলা গয়া' এবং 'দিল মেরা তোড়া হায় মুঝে কহি কা না ছোড়া তেরে পেয়ার নে'-এর মতো গান গেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন।
এরপরেও লতা মঙ্গেশকর সেই বিশেষ হিট গানের খোঁজে ছিলেন। ১৯৪৯ সালে 'মহল' ছবির 'আয়েগা আনেওয়ালা' গানে সেই সুযোগ পান লতা। এই গানটি সেই সময়ের সবচেয়ে সুন্দরী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুবালার উপর চিত্রায়িত হয়। ছবিটি বিশাল সাফল্য লাভ করে এবং লতা ও মধুবালা উভয়ের জন্যই এটি অত্যন্ত শুভ বলে প্রমাণিত হয়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি লতা মঙ্গেশকরকে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -