Laxmi Kakima Superstar: বসন্ত উৎসবে মঞ্চ মাতালেন 'লক্ষ্মীকাকিমা' অপরাজিতা, দর্শক দেবশঙ্কর
'লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার'-এর সেটে বসন্ত উৎসব পালন। রিল লাইফের মজা যেন মিশে গেল রিয়েল লাইফেও।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appধারাবাহিকের লক্ষ্মীকাকিমা মানে বাস্তবের অপরাজিতা অভিনয়ের পাশাপাশি একজন নৃত্যশিল্পীও। এই ধারাবাহিকে প্রথম তিনি নাচ করার সুযোগ পেয়েছেন। নাচে গানে মঞ্চ জমিয়ে অপরাজিতাই সুপারস্টার।
বসন্ত উৎসবে অপরাজিতার হাত ধরে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন দেবশঙ্করও। ধারাবাহিকের গল্পে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন তাঁরা।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করেছেন অপরাজিতা। সেখানে নায়িকার পরণ হলুদ শাড়ি। এক্কেবারে দোলের আদর্শ পোশাক। আর তার সঙ্গে পা মিলিয়েছেন আরও দুই সঙ্গী। তিন সঙ্গীর নাচে অন্য মাত্রা এনেছে শ্রী-এর গলার গান। মোবাইল দেখে শ্রী গাইছেন 'বসন্ত এসে গেছে'।
সাদা পাঞ্জাবি, গালে আবির, দর্শকাসনে অপরাজিতার নাচের দর্শক দেবশঙ্করও। শুধু কী তাই, গানের তালে পা মিলিয়েছিল গোটা পরিবার।
দীর্ঘদিন পরে ছোটপর্দায় ফিরেই ম্যাজিক দেখিয়েছেন অপরাজিতা। নতুন ধারাবাহিক নিয়ে উচ্ছসিত অপরাজিতা আঢ্য। কাকিমা সুপারস্টার হল কীভাবে? অপরাজিতা বলছেন, 'আমরা আসেপাশে যে চরিত্রদের দেখতে পাই তাঁরা সবাই সুপারস্টার।'
দীর্ঘদিন পরে ছোটপর্দায় অভিনয় করছেন দেবশঙ্করও। এই ধারাবাহিকের স্ক্রিপ্ট পছন্দ হওয়াতেই এই কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
নিজের চরিত্র নিয়ে অপরাজিতা বলছেন, 'মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়ে, তখন বিশেষত মহিলারা বুক গিয়ে এই সংসারটা আগলে রাখেন, চালিয়ে যান। এই চরিত্রটা আমার খুব কাছের কারণ আমাদের চারিদিকে এমন অনেক লক্ষ্মী কাকিমারা ছড়িয়ে আছেন। তারা সবাই আমাদের কাছে সুপারস্টার।
লক্ষ্মীর চরিত্রটা ঠিক কেমন? অপরাজিতা বলছেন, '২০২২ সালে এসে কেউ হাত গুটিয়ে বসে নেই। গ্রামের দিকে আমার জা'য়েরা থাকেন। তাঁরাও প্রত্যেকে সংসার চালানোর পাশাপাশি সংসারকে সাহায্য করার জন্য কিছু না কিছু করছেন। কেউ শাড়ির ব্যবসা, কেউ শিক্ষকতা। লক্ষ্মীও ঠিক এমনই একটা ঘরোয়া চরিত্র। সে মুদির দোকান চালায়। আবার সেইসঙ্গে দশভূজা হয়ে সংসারও সামলায়।'
অপরাজিতা বলছেন, 'চরিত্রটার প্রস্তাব আসার পরে আমার স্বামী আমায় বলেছিলেন, 'তোমার যা ব্যক্তিত্ব তাতে এই ধরণের চরিত্রে অভিনয় করবে?' আমি বলেছিলাম, করব। কারণ আমি নিজেও এইরকম। কখনও বসে থাকতে পারি না। শ্যুটিং না থাকলে খেলনা বানাই, রান্না করি, আরও কত কি! পর্দায় লক্ষ্মীর কাছে মুদির দোকানটা কেবল দায়িত্ব নয়, সে কাজটাকে ভীষণভাবে ভালোবাসে। অনেকেই তার দোকানে আসে জিনিস কিনতে নয়, পরামর্শ নিতে। লক্ষ্মী তাদের কথা শোনে। ঘরে কোথাও না কোথাও তার একটা দুঃখ লুকনো আছে। লক্ষ্মী যেন হালকা হয়, ভালো থাকে ওই দোকানকে ঘিরেই।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -