Leonardo DiCaprio: শিল্পীর নামে নামকরণ, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, লিওনার্দো আজও ‘টাইট্যানিকে’র নায়ক
সরষের তেলের ট্যাঙ্কার উল্টে বিপত্তি, উলুবেড়িয়ায় জেলে পাড়া ব্রিজের কাছে দুর্ঘটনা
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appলিওনার্দোর বাবা জর্জ ডিক্যাপ্রিও এবং মা ইরমেলিন ইটালি ও জার্মান বংশোদ্ভূত। কলেজে পড়ার সময় ঘনিষ্ঠতা দু’জনের। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় ইটালি বেড়াতে গিয়েছিলেন ইরমেলিন। সেখানে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা ছবি দেখার সময় গর্ভে থাকা সন্তানের নড়াচড়া প্রথম অনুভব করেন তিনি। তাতেই ছেলের নাম রাখেন লিওনার্দো।
পরবর্তী কালে জর্জ এবং ইরমেলিন আলাদা হয়ে যান। মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন লিওনার্দো। ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল। স্কুলে যাওয়ার চেয়ে অডিশন দেওয়াই ছিল পছন্দ। সেই থেকে আজও জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম তিনি।
সুদীর্ঘ কেরিয়ারে নানা ধরনের চরিত্র অভিনয় ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন লিওনার্দো। তবে আমেরিকার-ইউরোপের বাইরে কোটি কোটি মানুষের কাছে আজও তিনি ‘টাইট্যানিক’ ছবির ‘জ্যাক’।
যে ‘টাইট্যানিক’ ছবি লিওনার্দোকে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা দেয়, ওই ছবির জন্য যদিও প্রথমে তাঁকে পছন্দই হয়নি প্রযোজকদের। বরং ম্যাথু ম্যাকনেসকেই নায়ক হিসেবে মনে ধরেছিল তাঁদের। কিন্তু পরিচালক জেমস ক্যামেরন লিওনার্দোকেই চেয়েছিলেন।
শুধুমাত্র লিওনার্দোকে ধরেই ‘ইনসেপশন’ ছবির গল্প ফেঁদেছিলেন ক্রিস্টোফার নোলান। তার পর প্রয়োজন অনুযায়ী লিওনার্দোর চারপাশে বাকিদের সাজিয়ে দেন বলে জানান। ‘দিস বয়েজ লাইফ’ ছবির জন্য লিওনার্দোকে বেছে নিয়েছিলেন খোদ রবার্ট ডি নিরো। ‘উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করলেও, জীবনে কখনও মাদক সেবন করেননি লিওনার্দো। ‘উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট’-এ অভিনয়ের আগে তাই মাদক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে চরিত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
১৯৯৩ সালে প্রথম ‘হোয়াটস ইটিং গিলবার্ট গ্রেপ’ ছবির জন্য অস্কারের মনোনয়ন পান লিওনার্দো। তার পর থেকে ‘দ্য এভিয়েটর’, ‘ব্লাড ডায়মন্ড’, ‘দ্য উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট’, ‘ওয়ন্স আপঅন আ টাইম ইন হলিউড’-এর মতো ছবির জন্যও মনোনীত হন। শেষ মেশ ২০১৬ সালে ‘দ্য রেভন্যান্ট’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার জেতেন।
সফল এবং জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও কৃপণ বলে বদনাম ছিল লিওনার্দোর। পানশালা, রেস্তরাঁয় নিত্য আনাগোনা করলেও, নিজের পকেট থেকে টাকা গোনা বা খাওয়ার পর টিপ দিতে তাঁর অনীহা ছিল বলে শোনা যায়।
লিওনার্দোর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয়নি। হাঁটুর বয়সি মডেলদের সঙ্গে বেছে বেছে প্রেম করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বলা হয়, কোনও মেয়ের বয়স ২৫ পেরোলেই আর তাঁকে মনে ধরে না লিওনার্দোর। একাধিক প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেও, ‘টাইট্যানিক’ অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট তাঁর চিরকালের কাছের বন্ধু। পরস্পরকে নিয়ে আবেগ লুকিয়ে রাখেন না কেউই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -