Manya Singh Photos এক সময় অন্যের জুতো পরিষ্কার করে রোজগার, আজ সফল ভারত-সুন্দরী
স্বপ্ন সফল হয়। তা পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন। আর তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলেন মিস ইন্ডিয়া ২০২০ দ্বিতীয় স্থানাধিকারী মান্যা সিংহ। শোবিজ দুনিয়ার গ্ল্যামার ও চটক আমাদের বিশ্বাস করায় যে আর্থিক সম্পন্ন পরিবারের মেয়েরাই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তাই কি? সেই ধারণাকে একেবারে পাল্টে দিয়েছেন পেশায় অটোচালক বাবার মেয়ে মান্যা। সব প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে বড় স্বপ্ন দেখাটা জরুরি। লক্ষ্যে পৌঁছতে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবর্তমানে মুম্বইয়ের বাসিন্দা মান্যার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। তিনি জীবনে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর বাবা অটোচালক। ছোট বয়সে অনেক দারিদ্র্যের মোকাবিলা করতে হয়েছে মান্যাকে। জীবন কোনও অবস্থাতেই তাঁর কাছে গোলাপ-বিছানো ছিল না। কিন্তু, তিনি সকল প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করেছেন। এমন সময়ও গিয়েছে, যখন তাঁকে খালি পেটেই শুয়ে পড়তে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ১৪ বছর বয়স থেকেই কাজ করতে শুরু করি। প্রথমে পিৎজার দোকানে কাজ করতাম। আমি এমনকী ঘরে ঘরে বাসনও ধুয়েছি। এমনও দিন গিয়েছে, যখন আমাকে অন্যের জুতো পরিষ্কার করতে হয়েছে।
পরে, কল-সেন্টারে কাজ করে পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন তিনি। বলেন, আমি কলেজে স্নাতকস্তরে পড়ার সময় পরিবারের জন্য কাজ করেছি। আমি ভেবেছিলাম যে আমার বাবা এবং মা কখনই এমন ছেলের কামনা করবেন না, যে উপার্জন করতে পারে এবং পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারে। প্রসঙ্গত, মান্যার এক ভাই আছে। সে দশম শ্রেণিতে পড়ে।
অনটনের সংসারে ঘর চালাতেই প্রায় হিমসিম খেতে হত মান্যার বাবাকে। ফলে, মেয়ের স্কুলশিক্ষার দায়িত্ব নিতে পারেননি। যার জেরে তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সঠিকভাবে স্কুলে যেতে পারেননি মান্যা। তিনি বলেন, আমার বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে যাতে আমাকে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তাঁরা কেবল আমার পরীক্ষার খরচটুকুই জোগাড় করতে পেরেছিলেন। কিন্তু, স্কুলের ফি দিতে পারেননি। এভাবেই দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়েছিলেন মান্যা। পরে, কলেজে উঠলে তাঁর পড়ার খরচ তুলতে মাকে রুপোর নুপূর বিক্রি করতে হয়েছিল।
তিনি যোগ করেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলাকে আরও রপ্ত করতে তিনি কল সেন্টারে চাকরি শুরু করেন। একইসঙ্গে ওই টাকা দিয়ে পরিবারকে সাহায্য করতেন। মান্যা জানান, তিনি স্বপ্ন দেখতেন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। সেই কারণে, তিনি নিজের কথা বলার ধরনকে আরও ধারালো করতে চাইছিলেন। তিনি বলেন, কল সেন্টারে কাজ করার ফলে তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়।
মান্যা জানান, আর্থিক অনটনের কারণে তিনি গোরক্ষপুর থেকে পালিয়ে মুম্বই চলে আসেন। তিনদিনের সফরে তিনি কিছু খেতে পারেননি। কারণ, তাঁর কাছে কোনও টাকা ছিল না। মিস ইন্ডিয়া রানার-আপ বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমি কখনই হাল ছাড়ব না বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। ( সব ছবি সৌজন্য-- ইনস্টাগ্রাম)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -