Dharmendra-Meena Kumari: হ্যান্ডসাম ধর্মেন্দ্রর মুখে কালি লেপে দিয়েছিলেন মীনা কুমারীর স্বামী? প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কি
৩৩ বছরের সুদীর্ঘ কেরিয়ার। ৯০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত জনপ্রিয়তা ছিল নায়িকার। আজও বিনোদন জগতে 'ট্র্যাজেডি কুইন' হিসেবেই পরিচিত মীনা কুমারী।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপর্দায় অভিনীত চরিত্রের জন্য ওই তকমা জুটলেও, ব্যক্তিগত জীবন মোটেই মসৃণ ছিল না মীনা কুমারীর। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মোকাবিলা করতে হয়েছে তাঁকে। যেতে হয়েছে ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে।
এর মধ্যে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর নাম ঘিরে একসময় চর্চা ছিল তুঙ্গে। শোনা যায়, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে ধর্মেন্দ্রকে পাশে পেয়েছিলেন মীনা কুমারী। বলিউডে ধর্মেন্দ্রকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য মীনা কুমারীকে কৃতিত্বও দেন অনেকে।
কিন্তু ধর্মেন্দ্রর সঙ্গেও জীবন মসৃণ হয়নি মীনা কুমারীর। আবার ধর্মেন্দ্রকেও সেই নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। জানা যায়, মীনা কুমারীর স্বামী পরবর্তীতে ধর্মেন্দ্রকে শাস্তি দেন। কালি মাখিয়ে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন ঠায়।
পরিচালক কামাল আমরোহীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মীনা কুমারী। কামাল আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। বিবাহিত কামালের সঙ্গেই ১৯৫২ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন মীনা কুমারী। কিন্তু তাঁদের সেই বিয়ে সুখের হয়নি।
শোনা যায়, মীনা কুমারীকে মারধর করতেন কামাল। অভিনেত্রী নার্গিসও সেই নিয়ে সরব হয়েছিলেন একসময়। কামাল যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। একটা সময় কামালকে ছেড়ে বেরিয়ে যান মীনা কুমারী। এর পরই তাঁর জীবনে ধর্মেন্দ্রর প্রবেশ।
'ফুল অউর পাত্থর', 'কাজল', 'বাহারোঁ কি মঞ্জিল', 'পূর্ণিমা'র মতো ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন মীনা কুমারী এবং ধর্মেন্দ্র। বড়পর্দায় তাঁদের রসায়নও ছিল দেখার মতো। কামাল তাঁদের এই ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি বলে শোনা যায়।
১৯৭২ সালে মারা যান মীনা কুমারী। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী অভিনীত 'রাজিয়া সুলতান'। সেই ছবির পরিচালক ছিলেন কামাল।
শোনা যায়, ছবির শুটিং চলাকালীন ধর্মেন্দ্রর উপর প্রতিশোধ তোলেন কামাল। ছবিতে রাজিয়া সুলতানের চরিত্রে অভিনয় করেন হেমা। তাঁর ক্রীতদাস, জামালউদ্দিন ইয়াকতের চরিত্রে ছিলেন ধর্মেন্দ্র।
ছবিতে কালিমাখা চেহারায় ধরা দেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর মুখে, গোটা শরীরে কালি মাখানোর নির্দেশ দেন পরিচালক কামালই। চরিত্রের প্রয়োজনে বলে দাবি করা হলেও, আসলে প্রতিশোধ তুলতেই বলিউডের 'হি ম্যান' ধর্মেন্দ্রর মুখে কামাল কালি মাখানোর নির্দেশ দেন বলে দাবি শোনা যায়।
শুধু তাই নয়, মীনা কুমারীর বিপরীতে 'পাকিজা' ছবিতে ধর্মেন্দ্ররই অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু কামাল তা হতে দেননি বলেও শোনা যায়। ধর্মেন্দ্রর জায়গায় তিনি রাজকুমারকে নেন ছবিতে।
মীনা কুমারীর প্রতি অনুরাগের কথা জানালেও, সম্পর্কের কথা সেভাবে কখনও স্বীকার করেননি ধর্মেন্দ্র। বরং একটি সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমাকে হিংসে করেন অনেকে। মীনা কুমারীর সঙ্গে প্রেম করিনি। উনি অনেক বড় তারকা ছিলেন। আমি ছিলাম সামান্য অনুরাগী। তারকা এবং অনুরাগীর মধ্যেকার সম্পর্ককে যদি কেউ প্রেম বলতে চান, বলতে পারেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -