Bollywood Divorce: সংসার ভাঙল 'চিরকুমার' সলমনের দুই ভাইয়েরই, বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জমা দিলেন সোহেলও
এক জন বিয়েই করেননি। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় জনের। কনিষ্ঠজনকে নিয়ে তাই আশায় বুক বেঁধেছিলেন সকলে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বলিউড অভিনেতা সলমন খানের ছোট ভাই, পরিচালক-প্রযোজক তথা অভিনেতা সোহেল খান এবং তাঁর ফ্যাশন ডিজাইনার স্ত্রী সীমা সচদেব খান এ বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জমা দিলেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিগত ২৪ বছরের দাম্পত্যজীবন সোহেল এবং সীমার। শুক্রবার মুম্বইয়ের ফ্যামিলি কোর্টে দেখা যায় তাঁদের। দু'জনেই সম্মতিক্রমে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন জানিয়েছেন বলে খবর। আদালত থেকে দু'জনকে আলাদা আলাদা বেরোতে দেখা যায়। তবে রাগ, সন্তাপ নয়, আদালতে দু'জনকেই পরস্পরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে দেখা যায় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত ছয় বছর ধরে আলাদা থাকছিলেন সোহেল এবং সীমা। দু'জনের পরিবারের তরফেই বিয়ে বাঁচানোর সবরকম পরামর্শ দেওয়া হয়। সলমন নিজে এ ব্য়াপারে উদ্যোগী হন। কিন্তু এত বছর পরেও সোহেল-সীমার মধ্যে বোঝাপড়ায় ফাটল রয়ে গিয়েছে। তাই বিবাহবন্ধন থেকে পরস্পরকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে আগের মতোই বন্ধু থাকবেন।
তবে সোহেল-সীমার দাম্পত্যে ছেদ পড়ায় বলিউডে অনেকেই দুঃখিত। কারণ পারিবারিক আপত্তি, ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে দু'জনে পরস্পরকে আপন করে নিয়েছিলেন। তিলে তিলে সাজিয়ে তুলেছিলেন সংসার। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যদিও প্রকাশ্যে নীরবতাই পালন করতে দেখা যায় সোহেলকে। তবে সম্প্রতি নিজের নেটফ্লিক্স শো-এ সোহেলের সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ পড়ার কথা জানিয়েছিলেন সীমা। জানিয়েছিলেন, আলাদা থাকেন তাঁরা। মাঝেমধ্যে সোহেল আনাগোনা করে। তাঁদের দুই ছেলেও কখনও মায়ের কাছে, কখনও আবার বাবার কাছে থাকে।
অথচ কয়েক বছর আগেও সোহেল এবং সীমা পরস্পরকে চোখে হারাতেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়। 'প্য়াযার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া' ছবির শ্যুটিংয়ের সময় দিল্লিতে সোহেল এবং সীমার আলাপ। তার পর প্রেম। দিল্লির মেয়ে হলেও, ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়তে মুম্বই এসেছিলেন সীমা। কিন্তু দু'জনের সম্পর্কে আপত্তি ছিল সীমার পরিবারের।
বলে বুঝিয়ে কাজ না হওয়ায় এক রাতে সোহেলের সঙ্গে পালিয়ে যান সীমা। বন্ধুদের সাহায্যে পুরোহিত ডেকে রাতবিরেতে সাতপাকে বাঁধা পড়েন দু'জনে। বিয়ে সেরে মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে সে কথা বাবা সেলিম খানকে জানান সোহেল। পরে সীমার পরিবার বিয়ে মেনে নেন এবং খান পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের। সীমার গোটা পরিবারের মুম্বইতে ঘাঁটি গাড়া থেকে সীমার ভাই বান্টি সচদেবের প্রযোজক হওয়ার পিছনেও খান পরিবারেরই হাত ছিল বলে শোনা যায়।
কিন্তু পরিবার যত কাছে আসতে থাকে, সোহেল এবং সীমা ততই পরস্পরের থেকে দূরে সরতে শুরু করেন বলে খবর। সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের অন্যতম হোতা সোহেলের সঙ্গে অভিনেত্রী হুমা কুরেশির ঘনিষ্ঠতাই তাঁর দাম্পত্যজীবনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয় বলেও শোনা যায় গুঞ্জন।
সলমন নিজে তাই ভাইয়ের বিয়ে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন। সোহেল এবং সীমার সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথাও বলেন তিনি। কাউন্সিলিং থেকে নিজেদের মধ্যে কথআ বলে ভুল বোঝাবুঝি ঘুচনো, কোনও কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু সোহেল এবং সীমার ভাঙা সম্পর্ক আর জোড়া লাগানো যায়নি।
কয়েক বছর আগে বিদেশে গোটা পরিবারকে একসঙ্গে ছুটি কাটাতেও দেখা যায়। সেখানে পরস্পরের ঘনিষঅঠই ছিলেন সোহেল এবং সীমা। সেই সময় আরবাজ খান এবং মালাইকা আরোরাও কঠইন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতেই সপরিবারে ওই ভ্রমণের আয়োজন বলে শোনা যায়। কিন্তু পাঁচ বছর আগেই আরবাজ-মালাইকার বিয়েতে ইতি পড়েছে। খুব শীঘঅর সোহেল এবং সীমার বিবাহবিচ্ছেদেও আইনি সিলমোহর পড়তে চলেছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে তারকাদের অন্যতম প্রিয় ডিজাইনার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন সীমা। নেটফ্লিক্সে বলিউডের নামী তারকাদের স্ত্রীদের নিয়ে শোয়েও মধ্যমণি তিনি। তাঁর তারকা স্টেটাসও কি সম্পর্ক ভাঙার জন্য কোনও ভাবে দায়ী, এমন প্রশ্ন ঘুরছে মায়ানগরীতে। তবে দু'পক্ষই মৌনতা অবলম্বন করছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -