Rudrajit Mukherjee Birthday Photos: বেশি মিষ্টি দেওয়া পায়েস পছন্দ রুদ্রর, কোমর বাঁধলেন প্রমিতা
বেশি মিষ্টি দেওয়া পায়েস, সঙ্গে কাজু কিসমিস। খাবার যাই হোক, সঙ্গে মাংস চাইই চাই রুদ্রজিত মুখোপাধ্যায়ের। তার ওপর আজকে জন্মদিন। এই বছর মা-বাবাকে ছাড়াই জন্মদিন কাটাতে হবে তাঁকে। কিন্তু দুপুরে খাবার টেবিলে যথাসময়ে হাজির সমস্ত পছন্দ খাবার! কি করে? 'বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন রুদ্রর। মা-বাবাদের এই বাঙালিয়ানাটা না হলে শান্তি হয় না...তাই..' হেসে ফেললেন প্রতিমা চক্রবর্তী। আজকের সব আয়োজন সৌজন্যে তিনিই। রুদ্রজিতের ঘরণী।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appথালায় লোভনীয় খাবার। সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো। সারপ্রাইজ দেওয়া রুদ্রজিতেরই দায়িত্ব ছিল এতদিন। কিন্তু জন্মদিনে তাঁকে যেন বারবার চমকে দিচ্ছেন প্রমিতা। খেতে বসার আগে ভিডিও কলে একপ্রস্থ কথা বলারও ব্যবস্থা ছিল বাবা-মার সঙ্গে। গতকাল রাতেও রুদ্রজিতের জন্য বিশেষ আয়োজন করেছিলেন প্রমিতা।
সারাদিনের শ্যুটিং। দুজনের ২টো জায়গায়। এর সম্পূর্ণ সদব্যবহার করেছিলেন প্রমিতা। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় রুদ্রজিতের ব্যাগে রেখে দিয়েছিলেন ভালো পোশাক। সেই কথা জানতেনই না রুদ্রজিত। প্রমিতা বলছেন, 'আমি রুদ্রকে বলেছিলাম শ্যুটিং থেকে আমায় নিতে আসতে। আগে থেকেই রেস্তোরাঁর সঙ্গে কথা বলে রেখেছিলাম। করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই খোলা জায়গা বেছেছিলাম। শ্যুটিং শেষে ওকে বললাম ব্যাগে পোশাক রাখা আছে, রেডি হয়ে নিতে। তারপর সোজা রেস্তোরাঁ।'
সেখানে গিয়ে আরেক চমক। লাল বেলুনে সাজানো গোটা রেস্তোরাঁ। টেবিলে হাজির রেড ভেলভেট কেক, মোমবাতি। প্রমিতা বলছেন, 'সবসময় রুদ্রই আমার জন্য প্ল্যান করে। আজ ওর জন্মদিন। তাই আমার অবশ্যই উচিত ওর জন্য কিছু করা।'
করোনা পরিস্থিতি আর কাজ। পুরুলিয়ার বাড়িতে যাওয়া সম্ভব হয়নি রুদ্র-প্রমিতার। তাই ভরসা ভিডিও কল। কেক কাটা থেকে পায়েস, ভার্চুয়ালে রুদ্রজিতের সঙ্গে রইলেন মা-বাবা।
এই রেস্তোরাঁতেই প্রথমবার ভ্যালেন্টাইনস ডেতে এসেছিলেন এই জুটি। প্রমিতা বলছেন, 'প্রথম থেকে এই জায়গাটা আমার এত পছন্দ তাই এটাকেই বেছেছিলাম। গতবছর জন্মদিনে লকডাউনের জন্য রুদ্র আর আমার দেখাই হয়নি। ও পুরুলিয়াতে ছিল। আর বিয়ের পর এটা রুদ্রর প্রথম জন্মদিন। আমার জন্মদিনটাকে ভালো করে সাজিয়ে তোলার জন্য প্রচুর পরিকল্পনা করেছিল ও। আমি অতটা পারিনি, তবু চেষ্টা করলাম।'
আবার বাড়ছে করোনা। শ্যুটিং সেটে কাজও চলছে নিয়মবিধি মেনেই। প্রমিতা বললেন, 'কাজের খুব চাপ থাকছে। আজকের দিনটা ভোটের জন্য ছুটি। সন্ধ্যেটা বাড়িতে নিজেদের মত করেই কাটাব। গল্প করব বা সিনেমা দেখব। বাড়িতে বসে এমন সময় কাটানোর সুযোগ তো প্রায় পাওয়াই যায় না।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -