Salman Khan: ভাললাগা পরিণত হয়নি ভালবাসায়, এক ডিনার ডেট-ই ভেস্তে দেয় সবকিছু! সলমন-শিল্পার অজানা দাস্তান
একবার নয়, বার বার প্রেম এসেছে জীবনে। অকপটে তা স্বীকারও করে নেন বলিউডের ‘ভাইজান’ সলমন খান। কলেজ জীবন থেকে ৬০ ছুঁইছুঁই সলমন প্রেমে পড়েছেন একাধিক বার।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতার বাইরেও, প্রেম হতে গিয়ে হয়নি, এমনও ঘটেছে সলমনের সঙ্গে। একাধিক নায়িকার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ালেও, যাঁর কথা কখনও মাথায় আসেনি কারও, সেই অভিনেত্রীর নাম নিজেই প্রকাশ করেছেন সলমন।
তিনি আর কেউ নন, শিল্পা শেট্টি। সলমন এবং শিল্পা পরস্পরের ভাল বন্ধু। একসময় নাকি ভাললাগাও তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। সলমনের কথায় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
নয়ের দশক থেকে পর পর বেশ কিছু ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে সলমন এবং শিল্পাকে। সেই সময়ই নাকি পরস্পরকে ভাল লাগতে শুরু করে তাঁদের। মাঝে মধ্যে একান্তে নৈশভোজেও যেতেন তাঁরা। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন সলমন।
পুরনো সেই স্মৃতি তুলে এনেছেন খোদ সলমনই। জানিয়েছেন, এক রাতে শিল্পার সঙ্গে নৈশভোজে যাবেন বলে সব আয়োজন করেছিলেন তিনি। সময় মতো শিল্পার বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিলেন গাড়ি নিয়ে।
সলমন জানিয়েছেন, শিল্পার বাড়ির নিচে গাড়ি দাঁড় করান তিনি। নেমে আসেন শিল্পাও। সেই সময়ই সলমনের চোখ গিয়ে পড়ে শিল্পার বাড়ির ব্যালকনিতে। দেখেন ছয় ফুটের বেশি কেউ একজন হোমড়াচোমড়া ব্যক্তি দাঁড়িয়ে।
সলমন জানিয়েছেন, ভাল করে দেখে বোঝেন, শিল্পার বাবা তাঁকে নিরীক্ষণ করছেন। সলমন অভিবাদন জানাতেই, শিল্পার বাবা সুরেন্দ্র শেট্টি জানিয়ে দেন, রাত ১২টার মধ্যে যেন ফিরে আসেন।
সলমন জানিয়েছেন, শিল্পার বাবার কথা শুনে ঘড়ির দিকে তাকান তিনি। দেখেন, তখনই রাত সাড়ে ১১টা বাজছে। তাই কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তখনই দেখেন, শিল্পার বাবার হাতে গ্লাস। তাতে শিল্পার বাবাকে একসঙ্গে বসে পান করার প্রস্তাব দেন তিনি। তাতে রাজি হয়ে যান শিল্পার বাবা।
বাকিটা ইতিহাস বলে জানিয়েছেন সলমন। তিনি জানিয়েছেন, গ্লাস নিয়ে বসতেই তিনি আর শিল্পার বাবা গল্পে মেতে ওঠেন। বেশ খানিক ক্ষণ বসে তাঁদের নিরীক্ষণ করছিলেন শিল্পা। শেষ মেশ হাত তুলে নেন তিনি। ঘুমাতে চলে যান। শিল্পার বাবার সঙ্গে আড্ডা সেরে সলমন যখন বেরোন, তখন ঘড়িতে বাজে ভোর সাড়ে ৫টা।
তার পর থেকে সলমনকে স্নেহ করতে শুরু করেন শিল্পার বাবা। সলমনও অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন তাঁকে। সময় পেলেই দু’জনে রাতভর আড্ডা দিতেন। শিল্পার বাবা মারা গেলে, শ্যুটিং ছেড়ে তাঁদের বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন সলমন। বাড়ির যে কোণে বসে আড্ডা দিতেন তাঁরা, সেখানে পৌঁছে নাকি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সলমন, সে কথা জানিয়েছেন শিল্পা নিজেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -