Nargis Dutt Birth Anniversary: 'কিছু চাইনি তোমাকে ছাড়া', নার্গিসের জন্মদিনে আবেগতাড়িত সঞ্জয়
সাফল্য যেমন পেয়েছেন, অন্ধকারে মুখ থুবড়েও পড়েছেন। কিন্তু মায়ের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ করা হয়নি। নার্গিস দত্তের জন্মবার্ষিকীতে তাই আবেগঘন পোস্ট ছেলে সঞ্জয় দত্তের। সাদাকালো ওই ছবি দেখে আবেগতাড়িত, আপ্লুত সঞ্জয়ের অনুরাগীরাও।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবুধবার নার্গিসের জন্মবার্ষিকী ছিল। সেই উপলক্ষে ইনস্টাগ্রামে মায়ের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেন সঞ্জয়। পুরনো একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘তোমার হাসিই আমাকে শক্তি জুগিয়েছিল। তোমার কথা মাটির কাছাকাছি রেখেছিল আমাকে, খারাপ সময়ে তোমার আত্মাই ঘুরে দাঁড় করায় আমাকে। আমার জীবনে তুমিই ছিলে শ্রেষ্ঠ। আর কিছু চাইতে হয়নিষ শুভ জন্মদিন মা।’
মায়ের ব্যাপারে বরাবরই আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সঞ্জয়ের। সঞ্জয় জানিয়েছেন, মা নার্গিস এবং বাবা সুনীল দত্ত বরাবরই তাঁকে ভাল মানুষ হতে শিখিয়েছেন। নিজের ছেলেমেয়েকেও সেই শিক্ষাই দিচ্ছেন তিনি। বয়ঃসন্ধিতে বাবা-মায়ের উপর ছেলেমেয়ের রাগ হওয়া স্বাভাবিক বলে মত সঞ্জয়ের। স্ত্রী মান্যতাও এ ব্যাপারে একমত বলে জানিয়েছেন তিনি।
ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৯৮১ সালের ২ মে মৃত্যু হয় নার্গিসের। মায়ের মৃত্যুই তাঁকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন সঞ্জয়।
১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে ৪২ মাস কাটান সঞ্জয়। ওই সময় প্রতি মুহূর্তে মায়ের কথা মনে পড়ত বলে জানিয়েছেন সঞ্জয়। সেখান থেকেই নিজেকে শুধরে নিতে শুরু করেন বলে জানান।
শুধু তাই নয়, মা-বাবাই তাঁকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন সঞ্জয়। কোনও রাখঢাক না করে জানান, ভালবাসার আসল অর্থ মা-বাবার কাছেই শেখা।
নায়ক হিসেবে সঞ্জয়ের প্রথম ছবি ‘রকি’ মুক্তি পাওয়ার এক দিন আগে মারা যান নার্গিস। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে সঞ্জয় জানিয়েছেন, নার্গিস তাঁকে আদর, ভালবাসায় ভরিয়ে রাখতেন। তার জন্য সুনীল রেগেও যেতেন কখনও কখনও। নিজের ছেলেমেয়েকে তাই এখন শাসনে রাখেন সঞ্জয় এবং মান্যতা।
সুনীল এবং নার্গিসের প্রেম মায়ানগরীতে আজও মুখে মুখে ফেরে। গোড়া থেকেই নার্গিসকে পছন্দ ছিল সুনীলের। কিন্তু নার্গিস বড় তারকা হলেও, তিনি ছিলেন উঠতি অভিনেতা। কিন্তু ‘মাদার ইন্ডিয়া’ ছবির শ্যুটিংয়ে দু’জনের ঘনিষ্ঠতা।
জানা যায়, ছবিতে আগুনের দৃশ্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আর সেই আগুনে আটকে পড়েন নার্গিস। কোনও কিছু না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে উদ্ধার করেন সুনীল। তাতে তাঁর মুখ এবং বুকের একাংশ পুড়েও যায়। হাত পুড়ে য়ায় নার্গিসের। সুনীল না থাকলে নার্গিসকে বাঁচানো সম্ভব হত না।
এর পরই ১৯৫৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সুনীল এবং নার্গিস। ১৯৮০ সালে জন্ডিস ধরা পড়ে নার্গিসের। চিকিৎসা করাতে গিয়ে জানা যায় ক্যানসার। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রতি দিন স্বপ্নে নার্গিসকেই দেখতে পেতেন সুনীল, এমনটা শোনা যায় তাঁদের পরিবারের সকলের মুখেই।
এর পরই ১৯৫৮ সালে বিবাহবন্ধনে আভদ্ধ হন সুনীল এবং নার্গিস। ১৯৮০ সালে জন্ডিস ধরা পড়ে নার্গিসের। চিকিৎসা করাতে গিয়ে জানা যায় ক্যানসার। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রতি দিন স্বপ্নে নার্গিসকেই দেখতে পেতেন সুনীল, এমনটা শোনা যায় তাঁদের পরিবারের সকলের মুখেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -