Srimati: অর্জুনের পরিচালনায় ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প বলবেন স্বস্তিকা, খেয়া আর তৃণা
কলেজ জীবনের প্রেম, তারপরে বিয়ে। কিন্তু সেখানে একটা ছোট্ট ট্যুইস্ট। স্বামীর চেয়ে স্ত্রী একটু বড়। আর তাই নাকি গোটা কলেজে মজা করে তাঁদের বলা হত ভাই-বোনের জুটি। আর সেই জুটির গল্পই পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন টলিপাড়ার এক নতুন জুটি। সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty) ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। ছবির নাম শ্রীমতী (Srimati)।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপর্দায় এর আগে তাঁকে দেখা গিয়েছে ঝকঝকে, ঝলমলে ভূমিকায়। কিন্তু অর্জুন দত্তের (Arjun Dutta) 'শ্রীমতী' (Srimati) পরিচয় করাবে গৃহ পরিচারিকা খেয়া চট্টোপাধ্যায়ের (Kheya Chatterjee) সঙ্গে! স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee)-র সঙ্গে একটা মিষ্টি সম্পর্কের গল্প বলবেন পর্দার কাজল।
এবিপি লাইভের সঙ্গে চরিত্রের গল্পে মজেছিলেন খেয়া। বললেন, 'যখন প্রথম শ্রীমতীর চরিত্রায়ণ হল, অনেকেই ভ্রু-কুঁচকেছিলেন। পরিচারিকার চরিত্রে অভিনয়! আমি সঙ্গে সঙ্গে বলতাম, কেন নয়? আমার মা চিকিৎসক। আমি যাঁর কাছে বড় হয়েছি তাঁর পরিচয় গৃহ-পরিচারিকা হলেও তিনিই আমার কাছে সব। মণি বলে ডাকি। মণির কাছে আমি, আমার দিদি সবাই বড় হয়েছে। অর্জুনদা যখন আমাকে কাজলের চরিত্রটা বলেছিল, তখনই মনে হয়েছিল পর্দায় এমনভাবেই সম্পর্কের গল্প বলা উচিত। পরিচারিকা মানেই তাদের কথা বলার ধরণ আলাদা, ভাবনা আলাদা এমন নয়। প্রত্যেকেই সাধারণ মানুষ। এই চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।'
পর্দায় সোহমের সঙ্গে কাজ করার কেমন অভিজ্ঞতা হল? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে স্বস্তিকা বলছেন, 'আমি আর সোহম এতদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে একসঙ্গে কাজ করছি জানি না কেন কেউ কখনও আমাদের জুটি হিসেবে ভাবেনি।অর্জুন এটা কী করে করে ফেলল তাও জানি না। তবে ওর সঙ্গে সিনগুলো খুব সহজ ভাবেই করেছি। পর্দায় দেখেও আমাদের অসামঞ্জস্য কিছু লাগছে না। অন্তত আমার তো তাই মনে হচ্ছে। একটা বিবাহিত জুটিই মনে হচ্ছে।'
কলেজ প্রেম থেকে 'শ্রীমতী'-র গল্প শুরু, কেমন ছিল স্বস্তিকার কলেজ জীবন? অভিনেত্রী বলছেন, 'কলেজ মানেই তো প্রথম মুক্তির স্বাদ। প্রেমের অনুভূতি, বড় হওয়া সবটাই তো কলেজ থেকে শুরু হল। কলেজ জীবনে মনে হত, দেরি করলেও কেউ গেটে দাঁড়িয়ে থাকার নেই বকুনি দেওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে কলেজ জীবনটা দারুণ কাটিয়েছি।'
অভিনেত্রী সবসময় বলে এসেছেন, তাঁর অনুপ্রেরণা বাবা। শ্রীমতী হয়ে ওঠার পথে কি স্বস্তিকার অনুপ্রেরণা ছিলেন তাঁর মা? এবিপি লাইভকে অভিনেত্রী বলছেন, 'আমাদের বড় হয়ে ওঠা, আমার পরিবেশ সবকিছুরই প্রভাব পড়ে অভিনয়ের ওপর। যেখান থেকে যা রসদ পাই, সেগুলোকেই আমরা অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলি পর্দায়। বাবা হয়তো আমায় অভিনয়ের টেকনিক্যাল জিনিসগুলো বুঝিয়েছেন। কিন্তু আমি তো নারীচরিত্রই করব। আর সেই রসদটুকু আমি তো মা,মাসি, পিসি এঁদের থেকেই নেব। মনে আছে, অনেক সময় মা মজা করে বলতেন, কৃতজ্ঞতা স্বীকারে আমার নামটা দিয়ে দিস টাইটেল কার্ডে। সব কৃতিত্ব তো বাবা নিয়ে যাবে, আমার কথা কেউ জানবেও না। আমার মা আমার জন্য সবসময় অনুপ্রেরণা, অভিনয়ের ক্ষেত্রে, জীবনের ক্ষেত্রেও।'
বড়পর্দার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee) সঙ্গে প্রথম কাজ, সব মিলিয়ে 'শ্রীমতী' অন্যতম বড় একটা প্রাপ্তি তৃণা সাহার (Trina Saha) কাছে। 'শ্রীমতী' অর্জুন দত্তের তৃতীয় ছবি। এই ছবিতে প্রথমবার সোহম ও অর্জুন একে অপরের সঙ্গে কাজ করলেন। স্বস্তিকার সঙ্গে এটা অর্জুনের দ্বিতীয় কাজ। কেএসএস অর্থাৎ কান সিং সোধার প্রযোজনা সংস্থা থেকে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবিটি। পর্দায় না হলেও, বাস্তবে তৃণা নিজেই 'শ্রীমতী'। তরুণ এই অভিনেত্রীর চোখে 'শ্রীমতী'-রা (Sreemati) ঠিক কেমন, শুনল এবিপি লাইভ (ABP Live)।
প্রথমবার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ। কেমন অভিজ্ঞতা হল তৃণার? অভিনেত্রী বলছেন, 'স্বস্তিকাদি হল এমন একজন অভিনেত্রী এবং ব্যক্তিত্ব যিনি আমাদের প্রজন্মের কাছে আদর্শ। আমরা ওনার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকি সবসময়। পর্দায় আমার আর স্বস্তিকাদির যতটা ভালো সমীকরণ দেখানো হয়েছে, ক্যামেরার বাইরেও তাই। আসলে অফ ক্যামেরা ভালোবাসা আর বোঝাপড়াটা না থাকলে সেটাকে ক্যামেরার সামনে ফুটিয়ে তোলা খুব মুশকিল। আমাদের সহ অভিনেতা অভিনেত্রীরা এত ভালো, আর এমন একটা মিষ্টি পরিচালক যে আমরা সবাই একেবারে পরিবারের মতোই কাজ করেছি।'
'শ্রীমতী'-র ট্রেলার বলছে, 'সাধারণ ছাপোষাভাবে সংসার করাটাও এক্সট্রাঅর্ডিনারি'। স্বস্তিকারও কি একমত? প্রশ্ন প্রায় শেষ হতে না হতেই স্বস্তিকার উত্তর, 'অবশ্যই। আমার মা যদি সংসারটা না সামলাতেন, আমি এত খোলা মনে অভিনয় করতে পারতাম না। আমি ২১ বছর ধরে কাজ করছি, আমার মেয়ের ২২ বছর বয়স। এখন সে বড় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার বেড়ে ওঠার সময় মা-ই ওর দেখাশোনা করেছে। হ্যাঁ, আমি উপার্জন করেছি। তবে আমি বিশ্বাস করি শুধু উপার্জন করলেই কেউ স্বাবলম্বী হয়ে যায় না। যাঁরা কাজ করে, চাকরি করে, তাঁদের ক্ষেত্রেই কেন কেবল স্বাবলম্বী কথাটা ব্য়বহার করা হবে? যাঁরা বাড়িতে থেকে সংসারটা সামলান, তাঁরা কি স্বাবলম্বী নন? আমার বাড়িটা সামলানোর জন্য যিনি থাকেন, আমি তো ভীষণভাবে তাঁর ওপর নির্ভরশীল। আমরা সবাই তাই। তাহলে কেন কেবল উপার্জন করা মেয়েদেরই স্বাবলম্বী বলা হবে?'
এই ছবিতে মল্লিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বরখা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -