Tabu Birthday: সব চরিত্রেই তুখোড় অভিনয়, অজয় দেবগণের জন্যই বিয়ে হয়নি তব্বুর!
শিশুশিল্পী হিসেবে মাত্র ১০ বছর বয়সে বড়পর্দায় আবির্ভাব। প্রথম বড় সুযোগ দেব আনন্দের হাত ধরে। অভিজাত পরিবারের মেয়ে তব্বু, নায়িকা হয়েও ব্যাতিক্রমী। ৪ নভেম্বর জন্মদিন তাঁর।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App‘বাজার’ ছবিতে ছোট চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তব্বুকে। ১৪ বছর বয়সে দেব আনন্দের মেয়ের ভূমিকায় ‘হম নওজওয়ান’ ছবিতে অভিনয়। পুরোদস্তুর নায়িকা হিসেবে আবির্ভাব ‘কুলি নম্বর ওয়ান’ নামের তেলুগু ছবিতে, দক্ষিণের তারকা বেঙ্কটেশের বিপরীতে।
নায়িকা হিসেবে বলিউডে আত্মপ্রকাশের জন্য কম ঝড়-ঝাপটা যায়নি। সঞ্জয় কপূরের নায়িকা হিসেবে তব্বুকে দেখা যায় ’প্রেম’ ছবিতে। ১৯৮৭ সালে তব্বুর সঙ্গে চুক্তি করেন প্রযোজক বনি কপূর। ছবি সম্পূর্ণ হতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ আট বছর। কিন্তু বক্স অফিসে ব্যর্থ হয় ছবিটি। ‘প্রেম’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে সঞ্জয়ের প্রেমে পড়েন তব্বু। তবে খুব বেশিদিন টেকেনি সম্পর্ক। এমনকি ছবির শ্যুটিং যখন শেষ হয়, তখন কথাই বন্ধ ছিল দু’জনের। পরে সেই নিয়ে মুখ খোলেন সঞ্জয়। বলেন, “ওই সময় সঙ্গে প্রেম করছিলাম আমি। কিন্তু ছবির শ্যুটিং শেষ হতে হতে কথা বন্ধ হয়ে যায় আমাদের।“
বলিউডে ‘বিজয়পথ’ ছবিই প্রথম সাফল্য এনে দেয় তব্বুকে। ছবিতে নায়ক ছিলেন অজয় দেবগণ। তার জন্য ওই বছর সেরা নবাগতার পুরস্কারও পান তব্বু। এর পর ‘জিত’, ‘সাজন চলে সসুরাল’, ‘বিরাসত’-এর মতো সুপারহিট ছবি উপহার দেন।
১৯৭১ সালে জামাল হাশমি এবং রিজওয়ানার ঘরে, কলকাতায় জন্ম নেন তব্বু। ছোট্ট বয়সেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর স্কুল শিক্ষিকা মায়ের সঙ্গে প্রথমে হায়দরাবাদ এবং পরে মুম্বইয়ে থিতু হন। আমিষ একেবারে খান না তব্বু। অথচ এককালে মাংস, বিরিয়ানে বলতে অজ্ঞান ছিলেন। আজও মা বাড়িতে বিরিয়ানি রান্না করেন। কিন্তু ছুঁয়েও দেখেন না তব্বু।
আসল নাম তবস্সুম হলেও, ডাকনামেই পরিচিত তব্বু। বলিউডে বন্ধু-বান্ধবদের কেউ ট্যাবস, কেউ টাবস, কেউ আবার টাবি নামে ডাকেন তব্বুকে। নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্যি পরিচিত তব্বু। কিন্তু চুলের সঙ্গে কোনও এক্সপেরিমেন্ট পছন্দ নয় তব্বুর। নিজের লম্বা, ঘন চুল অসম্ভব প্রিয় তব্বুর।
আদ্যোপান্ত ফিল্মি পরিবারে জন্ম তব্বুর। শাবানা আজমি সম্পর্কে তাঁর পিসি। সিনেম্যাটোগ্রাফার বাবা আজমি তব্বুর কাকা, যিনি আবার অভিনেত্রী তনভি আজমির স্বামী। অভিনেত্রী ফারহা হলেন তব্বুর দিদি। হিন্দি, ইংরেজি ছাড়াই ঝরঝরে উর্দু এবং তেলুগু বলতে পারেন তব্বু।
‘মাচিস’, ‘চাঁদনি বার’ ছবির জন্য দু’বার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান তব্বু। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানও পেয়েছেন। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত তব্বু।
তব্বু এবং অজয় ছোটবেলার বন্ধু। কোনও ছেলে তাঁকে বিরক্ত করলে অজয় গিয়ে পিটিয়ে আসতেন বলে জানিয়েছেন তব্বু। অজয়ের জন্যই এ জীবনে তাঁর বিয়ে হল না বলে আক্ষেপ তব্বুর, কারণ অজয়ের ভয়ে নাকি কাছে পুরুষরা তাঁর কাছেই ঘেঁষেন না।
‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় সলমন খান, সইফ আলি খান, সোনালী বেন্দ্রে এবং নীলম কোঠারির সঙ্গে চিঙ্কারা হরিণ শিকার মামলায় নাম ওঠে তব্বুরও। পরে খালাস পেলেও, রাজস্থান হাইকোর্টে তাঁর মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন জমা পড়েছে। তাতে তব্বুকে ফের নোটিস পাঠিয়েছে আদালত।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -