Top Tollywood Movies: নস্ট্যালজিয়া, সম্পর্কের সমীকরণ, প্রেম, থ্রিলার.. এই বছর টলিউডের সেরা গল্প বলল কারা?
আর কয়েকটা ঘণ্টা হলেই শেষ হয়ে যাবে ২০২৩। এই বছর মুক্তি পেয়েছে অনেকগুলি ছবিই। কোনও ছবি বক্সঅফিসে ছাপ ফেলেছে, কোনও ছবি আবার হারিয়েই গিয়েছে। বছর শেষে এবিপি লাইভ (ABP Live) খুঁজে দেখল সেই সব বাংলা ছবিগুলোকে যেগুলো দাগ কেটেছে দর্শকদের মন বা বক্সঅফিসে। যে ছবিগুলি আলাদা করে উল্লেখ করার দাবি রাখে, নজর রাখা যাক সেই তালিকায়...
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশেষ পাতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee), গার্গী রায়চৌধুরী (Gargee Roychowdhury), বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (Vikram Chatterjee) ও রায়তি ভট্টাচার্য্যের (Rayoti Bhattacharya)-র অভিনয়ের জোরেই এই ছবি এই বছরের সেরা ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে থাকবে। লুক থেকে শুরু করে শরীরী ভাষা, আচার-ব্যবহার.. সবকিছুতেই এই ছবির চমক প্রসেনজিৎ। নিজেকে এক্কেবারে ভেঙে, নতুন করে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন প্রসেনজিৎ। গার্গীর অভিনয়ও অসাধারণ। এই ছবির হাত ধরে তিনি প্রথম গানও গাইলেন বড়পর্দায়। অতনু ঘোষ পরিচালিত এই ছবি দেখে ফেলা যায় কেবল দেখার আনন্দেই।
মায়ার জঞ্জাল ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty), চান্দ্রেয়ী ঘোষ (Chandreyee Ghosh), পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Banerjee) অভিনীত এই ছবি বক্সঅফিসে তেমন ছাপ ফেলতে না পারলেও, প্রশংসিত হয়েছিল খুবই। একদিকে যেমন অভিনয়ের দক্ষতা, অন্যদিকে তেমন চিত্রনাট্যের নিখুঁত বুনোট। ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর এই ছবি এই বছরের সেরা ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম, এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না। বাংলাদেশি অভিনেত্রী আপি করিমের অভিনয় এই ছবি সম্পদ। আলাদা করে নজর কেড়েছিল ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)-র অভিনয়ও।
কাবুলিওয়ালা একেবারে বছর শেষে মুক্তি পাওয়া এই ছবি প্রশংসার দাবি নাকি শুধু নস্ট্যালজিয়াকে সার্থকভাবে তুলে ধরার জন্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই গল্পকে পর্দায় তুলে ধরতে গিয়ে যে সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে, তা কখনোই আরোপিত বলে মনে হয়নি। কেবল গল্প নয়.. এই গল্প এর আগে পর্দায় তুলে ধরেছেন কিংবদন্তিরা। আর তাই.. রহমতের ভূমিকায় মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) কেমন মানাবে, তাই নিয়ে অনেকের উৎসাহ ছিল। তবে এই ছবি যে বক্সঅফিসে ঠিক কতটা ব্যবসা করবে তা এখনও বলা যায়নি। কারণ ছবিটি এখনও প্রেক্ষাগৃহে চলছে। তবে বেশ প্রশংসিত হয়েছে এই ছবিটি।
রক্তবীজ এই বছর নতুন ঘরানায় পা রেখেছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboproshad Mukherjee) ও নন্দিতা রায় (Nandita Roy)। এই বছর থ্রিলার ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তাঁরা। মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty), আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee) অভিনীত এই ছবি বেশ প্রশংসার দাবি রাখে। তবে এই ছবির চমক ছিল ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় (Victor Banerjee)। দীর্ঘদিন পরে তাঁকে বাংলা ছবিতে ফিরিয়ে এনেছিলেন শিবু-নন্দিতা জুটি। বক্সঅফিসে মোটামুটি সাফল্য পেয়েছিল এই ছবি, সেই সঙ্গে লোকমুখে প্রচারও পেয়েছিল বেশ।
বগলা মামা যুগ যুগ জিও ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকালই বলে এসেছেন, তিনি বড়পর্দার ছবি বানাতে চান আট থেকে আশির জন্য। এই বছর তাঁর তৈরি ছবি যে দর্শকদের কেবল নির্মল আনন্দ দিতে পেরেছিল তা নয়.. খরাজ মুখোপাধ্যায় (Khoraj Mukherjee) যে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন, তা যেন দর্শক জেনেছিলেন এই ছবির হাত ধরেই। কেবল খরাজ নন, ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen) ও দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) ও অন্যান্যদের অভিনয়ও প্রশংসার দাবি রাখে। চিত্রনাট্যকে যে নির্মল আনন্দের সুতো দিতে বেঁধেছিলেন ধ্রুব.. তা যে সার্থক এ কথা বলাই যায়।
দশম অবতার এই ছবি বক্স অফিসে ছাপ ফেলেছিল, তেমনটাই দাবি করেছিলেন প্রযোজক। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য (Anirban Bhattacharyya), জয়া আহসান (Jaya Ahsaan), যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta) অভিনীত এই ছবি থ্রিলার ঘরানায় বাঁধা। সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee) পরিচালিত এই ছবিতে আলাদা করে নজর কেড়েছে অনির্বাণের অভিনয়। গল্পের বাঁধুনির একেবারে শেষে চমক দর্শকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ ছিল।
শহরের উষ্ণতম দিনে বয়স বাড়ছে বাড়ুক না... হঠাৎ করে যদি আপনাকে কলেজ জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে যায় কোনও ছবি? বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, শোলাঙ্কি রায় অভিনীত এই ছবি ঠিক এই কাজটিই করেছিল। প্রেমের গল্পের সুরে বাঁধা এই ছবি একদিকে যেমন নস্ট্যালজিক করে তুলতে পারে দর্শকদের, তেমনই মনে করিয়ে দিতে পারে ফেলে আসা বন্ধুত্বের কথাও। কমবয়সি বাঙালির অম্লমধুর এই প্রেমের গল্পই এই ছবির ইউএসপি।
বাঘাযতীন দেব (Dev) অভিনীত এই ছবি বক্সঅফিসে মন্দ ব্যবসা করেনি। এই ছবির জন্য নিজেকে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিলেন দেব। রূপটান থেকে শুরু করে অভিনয়, তৎকালীন সময়কে ফুটিয়ে তোলা.. সব মিলিয়ে এই ছবি আলাদা করে উল্লেখের দাবি রাখে। এই ছবির হাত ধরেই বড়পর্দায় পা রেখেছেন সৃজা। দেব বারে বারেই বলেছিলেন, ব্যবসার জন্য নয়.. এই ছবি তিনি তৈরি করেছিলেন ইতিহাসকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই।
অর্ধাঙ্গিনী কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly) পরিচালিত, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় (Churni Ganguly), জয়া আহসান (Jaya Ahsaan) ও কৌশিক সেন (Kaushik Sen) অভিনীত এই ছবিটি অভিনয় ও গল্প বলার দিক থেকে অনন্যতা বজায় রেখেছে। শুধু তাই নয়... চূর্ণীকে এই ছবির হাত ধরে যেন নতুনভাবে আবিস্কার করবেন দর্শক। সম্পর্কের টানাপোড়েনে এই ছবি দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে বাধ্য। বক্সঅফিসেও ভালই ব্যবসা করেছিল এই ছবি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -