Neel-Trina: জন্মদিনে প্রেমপ্রস্তাব, সারপ্রাইজ দিতে তাইল্যান্ড পাড়ি, নীল-তৃণার মিষ্টি প্রেমের গল্প

ভালবাসার সপ্তাহ চলছে। কাজের ব্যস্ততা সামলেও, নিজেদের মতো করে ভালবাসার মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও। কিন্তু.. যে প্রেমের কথা সহজে প্রকাশ্যে আনতে চান না তারকারা?

স্কুলের প্রেম, ছোটবেলায় পাওয়া ভালাবাসার চিঠি.... কেমন ছিল তারকা হওয়ার আগের প্রেম? ভালবাসার সপ্তাহে, এবিপি লাইভকে সেই গল্পই শোনালেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha)।

একাদশ শ্রেণীতে নাকি প্রথম প্রেমে পড়েছিলেন তৃণা। সেই স্মৃতিচারণা করে অভিনেত্রী বলছেন, 'একাদশ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষার আগে আমার প্রথম প্রেম। তারপরে যা হয়..ভীষণ খারাপ রেজাল্ট হয়েছিল। কার্যত ফেল করতে করতে বেঁচেছিলাম।'

তৃণা বলছেন, 'তারপরে দ্বাদশ শ্রেণীর ফাইলানের পরে মা ফোনটা নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিল। সেটা ছিল প্রথম প্রেম আমাদের। তারপরে নীলের সঙ্গে সম্পর্ক... বিয়ে। সেটা সবাই জানে। আমার সেই প্রেমিকের থেকেই প্রথম ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র উপহারও পেয়েছিলাম। টিউশনের টাকা বাঁচিয়ে আমায় একটা হার আর লকেট কিনে দিয়েছিল। এই ধরণের উপহারগুলো সত্যিই খুব বিশেষ হয়।'

তৃণা বলছেন, 'টিউশনের টাকা, টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে দেওয়া ছোট্ট ছোট্ট উপহারগুলো মনে থেকে যায় চিরকাল। ওই উপহারটাও আনার কাছে ভীষণ স্পেশাল ছিল।'

তৃণা বলছেন, 'প্রেমপ্রস্তাব তো পেয়েছেন প্রচুর.. এখনও পর্যন্ত কোনটা ভীষণ মনে ধরেছে তৃণার? অভিনেত্রী বলছেন, 'একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে ভীষণ। ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন। একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে উঠছি। আমাদের বাড়ি ছিল উত্তর কলকাতায়। তখনও ওখানে রাস্তা থেকে বারন্দায় ছুঁড়ে ছুঁড়ে কাগজ দেওয়ার চল ছিল। একদিন সেই কাগজের সঙ্গেই এল আমার জন্য একটা প্রেমপত্র।'

তৃণা বলছেন, 'খুব সাধারণভাবেই নিয়ে পড়েছিলাম সেটা। তারপরে তো অবাক। আমার ঠিক উল্টোদিকের বাড়িতে একটা ছেলে থাকত.. কোনোদিন দেখা হয়নি অথচ সে নাকি আমার চোখের রঙটাও জানত। আমি নিজেই অবাক.. তার ওপর বাবা-মাকেও বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না যে আমি মোটেই প্রেম করছি না।'

তৃণা বলেছেন, 'নীলের সঙ্গে আমি প্রথমে লুকিয়েই প্রেম করেছি। দেরি করে বাড়ি ফিরতাম। সেই সময়ও বকা খেয়েছি.. এমনকি বিয়ের পরেও মা ফোন করে প্রশ্ন করে কেন দেরি হচ্ছে'

নীলের থেকে পাওয়া সেরা উপহারের কথা মনে করে তৃণা বলেন, 'তখন সবে আমাদের সম্পর্ক শুরু। আমি তাইল্যান্ডে শ্যুটিং করছিলাম। নীল হঠাৎ ছুটি নিয়ে, কাউকে না বলে তাইল্যান্ড চলে এসেছিল ২ দিনের জন্য। আমি ভীষণ অবাক হয়েছিলাম আর ওটা আমার কাছে সেরা উপহার ছিল।'

তৃণাকে নাকি চিঠি দিয়ে প্রপোজ করেছিলেন নীল.. সেই স্মৃতি মনে করে তৃণা বলছেন, 'দিনটা ছিল আমার জন্মদিন। নীল একটা গাড়ির ওপর প্রচুর গোলাপ ফুল, কেক নিয়ে আমার প্রপোজ করেছিল। সঙ্গে ছিল চিঠিও। সমস্ত বন্ধুদের সামনে ও এটা আয়োজন করেছিল আমার জন্য। জন্মদিনে পাওয়া ওটা আমার অন্যতম সেরা চমক ও উপহার।'