Vijay Sethupati: নায়ক নয়, অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন, ছেলের মধ্যে মৃত বন্ধুকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বিজয়
আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাঁর নামটুকুই যথেষ্ট, বিজয় সেথুপতি। বলিউডে কাজ করার জন্য কখনও হামলে পড়েননি তিনি। বরং হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের তাবড় তারকারাই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে মরিয়া।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপুরো নাম বিজয় গুরুনাথ সেথুপতি। মূলত তামিল ছবিতে অভিনয় করলেও, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ অনুরাগী রয়েছে। হিন্দি ছবি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও শীঘ্র দেখা যাবে বিজয়কে। শাহিদ কপূরের সঙ্গে ‘ফর্জি’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন বিজয়।
শুধু তাই নয় অ্যাটলির ছবি ‘জওয়ান’-এ খলনায়কের ভূমিকাতেও দেখা যাবে বিজয়কে। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন শাহরুখ খান। ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে ‘মেরি ক্রিসমাস’ ছবিতেও অভিনয় করছেন বিজয়।
সুদীর্ঘ কেরিয়ারে ‘সুপার ডিলাক্স’, ‘উপেনা ৯৬’, ‘বিক্রম বেদ’, ‘মাস্টার অ্যান্ড বিক্রম’-এর মতো ছবিতে বার বার অভিনেতা হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন বিজয়। তবে মেগাস্টার হিসেবে গোট দননিয়া তাঁকে চিনলেও, ব্যক্তিগত ভাবে বিজয়কে চেনেন কম জনই।
বিনোদন জগতের সঙ্গে কোনও সংযোগই ছিল না বিজয়ের। আর পাঁচ জন তারকা সন্তানের মতো রুপোর চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি তিনি। তবে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন ছোটবেলাতেই।
১৬ বছর বয়সে প্রথম ‘নাম্মাবর’ ছবির জন্য অডিশন দেন বিজয়। কিন্তু উচ্চতা কম হওয়ার জন্য ওই ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয় তাঁর। ২০১০ সালেই শেষ মেশ বড়পর্দায় অভিষেক ঘটে তাঁর।
বাণিজ্যশাখায় স্নাতক বিজয়। অভাবের সংসারের জন্য নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। কখনও রেস্তরাঁর হিসেব সামলেছেন, কখনও আবার রিটেল স্টোরের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। খুচরো ব্যবসাতেও অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন বিজয়। অ্যাকাউন্টট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে করতেই দুবাইয়ে চাকরির সুযোগ পান বিজয়, ভারতের থেকে বেতন ছিল ঢের বেশি। সেখানে বেশ কয়েক বছর ছিলেন বিজয়। আর দুবাইয়েই স্ত্রী জেসির সঙ্গে আলাপ। একসঙ্গে কাজ করতেন তাঁরা। ২০০৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুই সন্তান, সূর্য এবং সৃজা সেথুপতি।
অ্যাকাউন্টট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে করতেই দুবাইয়ে চাকরির সুযোগ পান বিজয়, ভারতের থেকে বেতন ছিল ঢের বেশি। সেখানে বেশ কয়েক বছর ছিলেন বিজয়। আর দুবাইয়েই স্ত্রী জেসির সঙ্গে আলাপ। একসঙ্গে কাজ করতেন তাঁরা। ২০০৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুই সন্তান, সূর্য এবং সৃজা সেথুপতি।
শোনা যায়, বিজয়ের এক বন্ধু ছিলেন। ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার সময় দুর্ঘটনায় মারা যান। এত কাছের বন্ধুর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি বিজয়। সেই বন্ধুর নামেই ছেলের নামকরণ করেন।
নায়ক নয়, অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন বিজয়। আর অভিনয় ক্ষমতার জোরেই লক্ষ লক্ষ মানুষের মন জিতে নিয়েছেন তিনি। অনুরাগীরা তাঁকে ‘মক্কল সেলভন’ বলেও ডাকেন, যার অর্থ জাতীয় সম্পদ। এই মুহূর্তে ছবি পিছু ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন বিজয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -