Vikram Chatterjee: নতুন ছবির সাফল্য কামনায় রবি-সকালে গঙ্গাস্নান বিক্রমের
সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি 'সূর্য', ছবিটি প্রশংসিত হয়েছে দর্শকমহলে। আর তারপরেই ছবির নায়ক বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (Vikram Chatterjee)-কে দেখা গেল একেবারে অন্য রূপে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরবিবার সকালে বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেল গঙ্গস্নান করতে। তর্পণও করলেন তিনি।
দর্শকদের ধন্যবাদজ্ঞাপন ও ঈশ্বরের উদ্দেশে ধন্যবাদজ্ঞাপনই ছিল এই উদ্যোগের কারণ। এর আগে বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথ আশ্রমেও গিয়ে সময় কাটিয়েছেন বিক্রম।
বিক্রম এই ছবি নিয়ে এবিপি লাইভকে বলেছেন, ‘চরিত্রটা আমার ভীষণ ভাল লেগেছিল। গত ২ বছর থেকে যে যে চরিত্র পেয়েছি, প্রত্যেকটাই একে অপরের থেকে আলাদা। সে 'শেষ পাতা' হোক, বা 'পারিয়া', 'শহরের উষ্ণতম দিনে' বা আমার যে ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে... প্রত্যেকটা ছবির ক্ষেত্রেই আমার আনন্দের জায়গা হল, পরিচালক-প্রযোজকেরা আমায় আলাদা আলাদা চরিত্র দিয়েছেন ভরসা করে।’
বিক্রম বলছেন, ‘ এই ছবিটার আরও একটা ভাল দিক হল, ছবিটা একটা বিশ্বাসের কথা বলে, ভাল থাকার কথা বলে। ভরসার কথা বলে। জীবনে কঠিন পরিস্থিতি আসলেও বিশ্বাস রাখা যে একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। একটা নতুন সূর্য উঠবে।’
বিক্রম বলছেন, ‘এই কথাটা আমিও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। ছবিটার ইউএসপি হল, মানুষের ডিপ্রেশন, বিভিন্ন মানসিক পরিস্থিতির কথা বলে, কিন্তু খুব হালকা মেজাজে। ’
বিক্রম বলছেন, ‘বাংলা ছবির ক্ষেত্রে খুব স্পর্শকাতর বিষয়কে তুলে ধরতে গেলেই আমরা গম্ভীর একটা ছবি বানিয়ে ফেলি। আমার মনে হয়েছিল, যে কোনও ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার পথ হল বিশ্বাস। 'সূর্য' সেই বিশ্বাসের কথাই বলে। ’
সূর্য-তে অভিনয় করার আগে এই ছবির অন্যান্য ভার্সন দেখেছিলেন বিক্রম? অভিনেতা বলছেন, ‘আমি অনেকদিন আগে 'চার্লি' ছবিটা দেখেছিলাম। তখন আমি নিতান্তই দর্শক। কখনও ভাবিনি যে সেই ছবির কপিরাইট কিনে, বাংলায় সেই ছবির অফারই আমার কাছে আসবে। বাকি দুটি ছবি, 'মারা' ও 'দেবা' আমি এখনও দেখিনি।’
বিক্রম বলছেন, ‘ছবির কাজ শুরু করার আগে আমাদের সবাইকে পরিচালক বলেছিলেন, আমরা ছবিটা এমনভাবেই তৈরি করব যেন এই চিত্রনাট্যের ওপর কখনও কোনও কাজ হয়নি। সিনেমাটায় যথেষ্ট নিজস্বতা রাখার চেষ্টা করেছি। আর আমি সবসময়েই পরিচালকের কথা শুনে অভিনয়ে বিশ্বাসী। তিনি যা ভেবেছেন, পর্দায় সেভাবেই চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করি। ’
বিক্রম বলছেন, ‘আমরা এই ছবিটা যদি শুধু বার্তাবহ হিসেবে বানাতাম, তাহলে হয়তো একটা স্লো-পেসের ছবি হত। বিনোদনমূলক হত না।’
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -