Diabetes : যে কোনও মুহূর্তে থাবা বসাতে পারে ডায়াবেটিস বা হার্টের অসুখ! এই ৬ লক্ষণেই বুঝে যান

ইনসুলিন প্রতিরোধ: ইনসুলিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর লক্ষণ ও ক্ষতি সম্পর্কে জেনে নিন।

যে কোনও মুহূর্তে থাবা বসাতে পারে ডায়াবেটিস বা হার্টের অসুখ! এই ৬ লক্ষণেই বুঝে যান

এআইআইএমএস ও হার্ভার্ড থেকে প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডঃ কুনাল সুদ তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ইনসুলিন প্রতিরোধের ছয়টি প্রাথমিক লক্ষণ উল্লেখ করেছেন, যা চিহ্নিত করা জরুরি। এই অবস্থা তখন হয় যখন শরীর রক্তের শর্করাকে স্বাভাবিক রাখতে অক্ষম হয়। এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা হলে, পরবর্তীতে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ সম্পর্কিত সমস্যাগুলো বাড়তে পারে।

পেটের আশেপাশে চর্বি বৃদ্ধি ইনসুলিন প্রতিরোধের একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি কেবল ওজন বৃদ্ধির বিষয় নয়, বরং মেটাবলিক গোলযোগের ফলও হতে পারে। এছাড়াও, ঘন ঘন মিষ্টি বা কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা হলে সতর্কহতে হবে,যে রক্তের শর্করার মাত্রা গন্ডগোল করছে।

অতিরিক্ত তৃষ্ণা এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াও এই অবস্থার লক্ষণ। যখন রক্তের শর্করা বাড়ে, তখন শরীর অতিরিক্ত গ্লুকোজকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই কারণে জলের অভাব অনুভূত হয়।

অতিরিক্ত তেষ্টা পাওয়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াও এই অবস্থার লক্ষণ। যখন রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে, তখন শরীর অতিরিক্ত গ্লুকোজকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই কারণে জলের অভাব অনুভূত হয়।

যদি রক্ত পরীক্ষার সময় শর্করার মাত্রা বা ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দেখা যায় তবে এটিকে হালকাভাবে নেবেন না। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি।

Continues below advertisement

ড. সুদ-এর মতে, এই পরিস্থিতি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা গেলে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সমস্যা আটকানো যেতে পারে।

আপনার জীবনযাত্রায় কিছু সামান্য পরিবর্তন বড় পার্থক্য আনতে পারে। এই প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা এবং সময় মতো পদক্ষেপ নেওয়া ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ উপায়।