Poppy Seeds Benefits: স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়, আরও অনেক গুণ পোস্তর, সুস্থ থাকতে ডায়েটে রাখুন অবশ্যই
মন চাইলেই গাছ বসিয়ে দিয়ে পারবেন না বাড়িতে। চড়া দাম দিয়েই কিনতে হয় বাজার থেকে। কিন্তু বাঙালির হেঁশেলে পোস্ত না থাকলে চলে না। ভাজাই হোক তরকারি, এক চিমটে পোস্ত থাকলেই কেল্লাফতে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশুধু খাবারের স্বাদ বাড়ানোই নয়, পোস্তর গুণাগুণ কিন্তু অনেক। অনিদ্রা দূর করা থেকে হজমক্ষমতা বৃদ্ধি, যন্ত্রণা উপশম, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়েও উপকারী পোস্ত।
তাই বলে অতিরিক্ত কিছুই ভাল নয়। পোস্তর ক্ষেত্রেও পরিমিত ব্যবহারই শ্রেয়। এতে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাকে। পোস্ত কেন উপকারী জেনে নিন।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় পোস্ত। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা ব্যাড কোলেস্টরেলকে বাড়তে দেয় না। পটাসিয়াম থাকায় রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। হৃদযন্ত্র সচল থাকে।
হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে পোস্ত। এতে টোকোফেরল থাকে, যা প্রদাহজনিত জ্বালা দূর করে। ফলে হৃদরোগ, ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা দূরে থাকে।
শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ নয়, পোস্ত থেকে উদ্ভিদ নির্ভর প্রোটিনও পাওয়া যায়। এতে হাড় শক্ত হয়, পেশির শক্তি বাড়ে।
প্রাচীন কাল থেকেই অনিদ্রা দূরীকরণে পোস্তর ব্যবহার চলে আসছে। পাতে পোস্ত থাকলে গভীর ঘুম দিতে পারেন অনায়াসে। এমনকি ইনসমনিয়ার সমস্যাও ঘুচে যায়।
যন্ত্রণার উপশমে মুঠো মুঠো পেনকিলার খাই আমরা। তার বদলে পোস্ত রাখুন পাতে। হালকা ব্যথা, যন্ত্রণার ক্ষেত্রে পোস্ত খেয়ে রেহাই মিলতে পারে।
তবে পোস্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আফিম গাছ থেকেই পোস্ত আসে। তাই বেশি খেলে ড্রাগ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসতে পারে। তাই ড্রাগ টেস্ট থাকলে, অন্তত তার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে পোস্ত খেতে বারণ করা হয়।
অনেকের পোস্তয় অ্যালার্জি থাকে। পোস্ত খাওয়ার পর হাত-পা চুলকানো, ত্বক ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের পোস্ত খেতে বারণ করা হয় অনেক সময়। শিশুকে স্তন্যপান করান যে মায়েরা, তাঁদেরও পোস্ত খেতে অনেক সময় বারণ করেন চিকিৎসকেরা, যাতে মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে মরফিন চলে না যায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -