Bronchiectasis: অধিকাংশ সময়ই ধরা পড়ে না, ব্রঙ্কিয়েক্টাসিস বয়ে বেডাতে হতে পারে জীবনভর
এক সময় যা বিরল ছিল, অতিমারিতে তা স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। শ্বাসকষ্ট, কাশিকে করোনার উপসর্গ বলে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকেরা। তবে সব কাশি করোনা নয়, ব্রঙ্কিয়েক্টাসিসও হতে পারে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appব্রঙ্কিয়েক্টাসিস এবং ব্রঙ্কাইটিস শুনতে প্রায় এক হলেও, দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা রোগ। ব্রঙ্কিয়েক্টাসিস মূলত জিনগত রোগ। আবার অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বা টিবি থাকলে, তা থেকেও ব্রঙ্কিয়েক্টাসিস হতে পারে।
ব্রঙ্কিয়েক্টাসিস ফুসফুসের রোগ। শ্বাসনালীর দেওয়াল যখন পুরু হয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাকেই ব্রঙ্কিয়েক্টাসিস বলে। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কাশির সঙ্গে মুখভর্তি কফ এবং কখনও কখনও তার সঙ্গে রক্তও ওঠে। ক্লান্তি দেখা দেয় শরীরে। অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে যায়।
অনেক ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা অনুভব করেন রোগী। ঘন ঘন মুখে কফ চলে আসে। হাত এবং পায়ের নখের নীচের চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া, শ্বাস নেওয়ার সময় সাঁ সাঁ করে শব্দ বেরনোর মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রদাহজনিত কারণে এবং সংক্রমণের জেরে শ্বাসনালীর দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে শ্লেষ্মা স্বাভাবিক ভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ব্যাকটেরিয়াকে আটকে ফেলে। তাতে সংক্রমণ আরও বাড়ে। শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কম বয়সিদের মধ্যে সাধারণত ব্রঙ্কিয়েক্টাসিস দেখা যায় না। ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সি প্রতি ২০ হাজার মানুষের ১ জনের এই রোগ রয়েছে। তবে ৭৫ ঊর্ধ্ব প্রতি ৩৫০ জনের মধ্যে ১ জনের এই রোগ থাকে। আক্রান্তদের দুই তৃতীয়াং মূলত মহিলা। তবে কম বয়সি মেয়েদের পরিবর্তে ছেলেদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
সাধারণ অবস্থায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ ধরা পড়ে না। স্ক্যান এবং এক্স রে-তে ফুসফুসের ছবি দেখে রোগ নির্ণয় করা হয়। এই রোগের কোনও চিকিৎসা এখনও পর্যন্ত নেই। তবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন রোগী।
পরিস্থিতি গুরুতর হলে কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের সাহায্য নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আক্রান্ত অংশটি কেটে বাদ দেন চিকিৎসকেরা।
ব্রঙ্কিয়েক্টাসিস মারণ রোগ না হলেও, দীর্ঘ দিন এর যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়। শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। শ্বাসনালী এবং শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিশ্রম করা তো বটেই, শ্বাস নিতেও কষ্ট হয় প্রবল।
এই রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সাধারণত অতিরিক্ত লবণ, চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ফল, ফাইবার যুক্ত খাবার, সবুজ শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। ওজন নিয়্ন্ত্রণেও জোর দেন চিকিৎসকেরা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -