Vitamin E: শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী ভিটামিন ই?
মানবদেহে ভিটামিন ই-র নানা ভূমিকা থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক কোষগুলিকে ধ্বংস করা সহ নানা উপকার করে ভিটামিন ই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিশেষ কিছু খাবার নিয়মিত খেলে পাওয়া যায় ভিটামিন ই। এই খাবারগুলির মধ্যে আছে বীজ, বাদাম, শাক-সবজি।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলির ক্ষয় হয় না। তার ফলে রোগের আশঙ্কা কমে। ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিডনির রোগের আশঙ্কা কমায় ভিটামিন ই।
হৃদরোগের আশঙ্কা কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন ই। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায়।
নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে ফ্যাটি লিভারের আশঙ্কা কমে। তাই যাঁরা মদ্যপান করেন বা করেন না, সবার পক্ষেই নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী।
মহিলাদের বিশেষ কিছু শারীরিক সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে ভিটামিন ই। বিশেষ করে যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ই।
ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে ভিটামিন ই। নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে চর্মরোগ হয় না। অ্যালঝাইমার্স রোগ দূর করতেও সাহায্য করে ভিটামিন ই। হাঁপানি দূর করতেও সাহায্য করে ভিটামিন ই।
চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত কত পরিমাণে ভিটামিন ই প্রয়োজন, বয়স অনুযায়ী সেই মাত্রা আলাদা। ৬ মাস পর্যন্ত রোজ ৪ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই নিলেই চলে। ৭ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত রোজ ৫ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই প্রয়োজন। এক থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত রোজ ৬ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই দরকার। চার থেকে আট বছর বয়স পর্যন্ত সাত মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই প্রয়োজন। ৯ থেকে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত রোজ ১১ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই দরকার। ১৪ বছরের ঊর্ধ্বে ১৫ মিলিগ্রাম থেকে ১৯ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই দরকার।
অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার বা ফুড সাপ্লিমেন্ট খেলে প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে।
সূর্যমুখী বীজ, আমন্ড, পালং শাক, ব্রকোলি, কিউয়ি, আম, টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -