Corona 3rd Wave: তৃতীয় ঢেউতে কারা কিছুটা হলেও সুরক্ষিত ? জেনে নিন কী ভাবছেন চিকিত্সকরা
দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কিছুটা সামলে উঠতেই তৃতীয় ঢেউয়ের (Corona Third Wave) আতঙ্ক শুরু হয়েছে। শরতের আকাশ যখন আগমনী সুর গাইছে, তখনই সমীক্ষা বলছে, সাবধান! উত্সবে একটুও গা-ফিলতি নয়। একটু ভুল পদক্ষেপ নিলেই বিরাট আকারে অক্টোবরেই ধাক্কা দিতে পারে তৃতীয় ঢেউ। তার অভিঘাতটা নেহাত কম হবে না । তবে বাঁচার উপায় কী ?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appচিকিত্সকরা বলছেন, তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে পারি আমরা দুইভাবে। প্রথমত যদি হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়, অথবা যদি দেশের মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে যান।
ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, আরও একটা ধাক্কা থেকে পুরো দেশকে বাঁচাতে যত সংখ্যক মানুষের ভ্যাকসিনেশন হওয়া জরুরি ছিল, তার থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আমরা। ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশের মানুষকে টিকা দেওয়ার যে ভাবনা প্রধানমন্ত্রী ভেবেছিলেন, বাস্তবে তা হওয়া একপ্রকার অসম্ভবই। অন্তত পরিসংখ্যান ও ভ্যাকসিনেশনের গতিপ্রকৃতিই তাই বলছে।
যদিও গতকাল, অর্থাত্ শুক্রবার ২৭ অগাস্ট আমাদের দেশে রেকর্ড ভ্যাকসিনেশন হয়েছে বলে ট্যুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী নিজেই। ''আজ রেকর্ড নম্বর টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে। এক দিনে এক কোটি টিকাকরণ একটা স্মরণীয় দিন। যাঁরা টিকা নিয়েছেন ও যাঁরা এই টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের সবাইকে সাধুবাদ জানাই।''
চিকিত্সকরা মনে করছেন, অন্যদিকে আরও একদল মানুষ এখনও ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না। কারও কারও আবার একটা ডোজই ভ্যাকসিন হয়েছে। জনসংখ্যার এই ভাগটি কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউতে আক্রান্ত হতেই পারেন, সেই সঙ্গে মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
করোনা Third Wave এ কারা কিছুটা হলেও সুরক্ষিত ? তৃতীয় ঢেউয়ে কিছুটা হলেও রক্ষা পেতে পারেন, যাঁদের ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে কিংবা যাঁরা দ্বিতীয় ঢেউতে ভাল রকম লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন।
করোনার সেকেন্ড ওয়েভে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত হয়েছিলেন, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি থেকে যাবে, এমনটাই বলছে সমীক্ষা। সেক্ষেত্রে, বিপদ কিছুটা কম। আর যাঁদের দুটি করে ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে তাঁরা কিছুটা হলেও সেফ।
ডা. সরকার জানালেন, আমাদের দেশের করোনা আক্রান্ত হওয়ার হিসেব বা হার্ড ইমিউনিটির পরিসংখ্যানটি এলাকা ভিত্তিক হওয়া দরকার। পশ্চিমবঙ্গেরই একেকটি জেলায় একেকরকম সেরো পজিটিভিটি। যেসব জায়গায় সেরো পজিটিভিটি বেশি,সেখানে তৃতীয় ঢেউয়ের অভিঘাত কম হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আশার কথা হল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের রিপোর্ট বলছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি সংক্রমিত হবে, এরকম কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে শিশুদের সুরক্ষার কথা ভেবেই ডা. জয়দেব সরকারের পরামর্শ, অনেকেরই ধারণা, বাচ্চাদের তো করোনা সেভাবে ঘায়েল করতে পারছে না, তাহলে ভ্যাকসিন না দিলে ক্ষতি কি। কিন্তু শিশুদের একবার করোনা হলে পরবর্তীতে অনেক জটিলতা হচ্ছে। সেগুলি প্রতিহত করতে করোনা হওয়ার বিষয়টি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -