Lifestyle:রাতে ঘুম কম মানে বাড়তে পারে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা, ইঙ্গিত নয়া গবেষণায়
রাতে কখন ঘুমোন? কতক্ষণ ঘুমোন? এই প্রশ্নের উত্তরেই অনেকাংশে লুকিয়ে থাকতে পারে টাইপ টু ডায়াবিটিস সমস্যার মূল কথা। হালের একটি গবেষণায় অত্যন্ত তেমনই ইঙ্গিত।(ছবি:PIXABAY)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই জন্য ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্কে থাকা প্রায় ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির শারীরবৃত্তীয় নানা তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, ফি-দিন যাঁরা গড়ে ৬ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমোন, তাঁদের টাইপ টু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাকিদের তুলনায় বেশি। (ছবি:PIXABAY)
আরও নির্দিষ্ট করে বললে এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা গড়ে ৫ ঘণ্টা ঘুমোন, তাঁদের টাইপ টু ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বাকিদের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। আর যাঁরা গড়ে প্রত্যেক দিন ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমোন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা প্রায় ৪১ শতাংশ বেশি। (ছবি:PIXABAY)
বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, ঘুম কম হলে আমাদের শরীরের এমন কিছু হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে যা কিনা ইনস্যুলিনের কাজে বাধা দিতে পারে। ফলে খাবার পরও পর্যাপ্ত ইনস্যুলিন নিঃসরণ হয় না, তাই শর্করা ঠিকঠাক ব্যবহৃতও হয় না। অতিরিক্ত শর্করা রক্তে থেকে যেতে থাকলে টাইপ টু ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বাড়তে পারে।
নিয়মিত এক্সারসাইজ এবং সঠিক খাওয়াদাওয়া না করলেও ঘুমের অভাব টাইপ টু ডায়াবিটিসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে, মনে করেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। (ছবি:PIXABAY)
ডাক্তারদের অনেকে মনে করেন, এক্ষেত্রে কে কখন ঘুমোতে যাচ্ছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেরই মতে, রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে পারলে সবথেকে ভাল হয়। কিন্তু যদি পিছোতে পিছোতে রাত ১টা থেকে ৩টের মধ্যে পৌঁছে যায়, তা হলে এই রোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে। (ছবি:PIXABAY)
শুধু টাইপ টু ডায়াবিটিস নয়, এই ধরনের জীবনযাপন হৃৎপিণ্ডের অসুখ এবং হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাও বাড়াতে পারে। (ছবি:PIXABAY)
অর্থাৎ ডায়াবিটিস তো বটেই, হৃৎপিণ্ডের অসুস্থতা, হাইপারটেনশন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলেও ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। (ছবি:PIXABAY)
তবে এছাড়াও নানা কারণে সুগারের সমস্যা হতে পারে। আগে থেকে সতর্ক হলে একটাই সুবিধা। সমস্যা অনেকাংশে দ্রুত আয়ত্তে আনা সম্ভব। তবে চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নেই। তাই তাঁর কথামতোই চলা দরকার। (ছবি:PIXABAY)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -