Fatty Liver: নি:শব্দে বিপদ ডেকে আনে ফ্যাটি লিভার, সুস্থ থাকতে ভরসা এই খাবারগুলি
সাম্প্রতিক সময়ে যে রোগটি প্রায়শই দেখা যায় তা হল ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। বয়সভেদে কম বেশি সকলেই এই সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু এই রোগের চিকিৎসা না করালে পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅনেক কারণে ফ্যাটি লিভার হয়। আবার ফ্যাটি লিভারের দু'রকম ভাগও রয়েছে। একটি হল অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অন্যটি নন-অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার। লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমলে তাকে ফ্যাটি লিভার বলে। এই সমস্যা দূর করতে খাদ্য তালিকায় বদল আনা যেতে পারে।
যারা ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের কিন্তু একটি নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলা খুব জরুরি। লিভারের ফ্যাট বার্ন করিয়ে তাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ।
কফি খাওয়া খুব উপকার। অবশ্যই দুধ-চিনি বাদ দিয়ে। যাঁদের নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রয়েছে কিংবা লিভার ফাইব্রোসিসের প্রথম পর্যায় তারা কফি খেলে সেই ক্যাফেইন লিভারের কোষে উপশমের কাজ করে।
ডাল খুব উপকারি এই রোগে। তা সে মুসুর হোক, ছোলা হোক। খুব হাইপ্রোটিনের বদলে সয়াবিনও খেতে পারেন। এই খাবারগুলি দেহে স্টার্চ জমতে বাধা দেয়। ফলে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ দূরে থাকবে।
মাছের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন মাছ খান। সামুদ্রিক মাছে এটি বেশি পরিমাণে থাকে। চর্বিযুক্ত মাছকে বলুন- 'নৈব নৈব চ'।
দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখালেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যার সমাধান হবে। প্রতিদিনের ডায়েটে তাই পালং শাক রাখুন। এখন শীতকাল তাই পাওয়া যাবে প্রচুর। মরসুমি এই শাকে যকৃৎ সারানোর অনেক উপাদান রয়েছে। কাঁচা খেতে পারলে আরও ভাল।
রান্নায় কিংবা কাঁচা, লিভারের রোগ থেকে বাঁচতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী দুটি উৎসেচকের ক্ষরণ কমাতে সাহায্য করে হলুদ। এর অ্যান্টিবায়োটিক ভূমিকা বিশ্বজুড়েই জানা সকলের।
সকালের জলখাবারে কিংবা লাঞ্চে ওটস খেতে পারেন। পুষ্টি ও ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ এই খাবার রক্তে ট্রাইগিসারাইডের মাত্রা কম করে। ফলে লিভারে ফ্যাট জমতে পারে না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -