Ice Cream Benefits: শুধু রসনাতৃপ্তিই নয়, মন ও শরীর ফুরফুরে রাখতেও জুড়ি নেই আইসক্রিমের
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, শেষপাতে আইসক্রিমই ভরসা বহু মানুষের। কিন্তু মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় যেমন তাড়িয়ে বেড়ায়, তেমনই ঠান্ডা লাগার ভয়ও রয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু জানেন কি, মন দুঃখে মন ভোলানো হোক বা রসনাতৃপ্তি, আইসক্রিমের গুণও কিছু কম নয়। একটু বুঝেশুনে চললেই, ফল পাবেন হাতেনাতে।
ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে ক্যালরি মেপে খেতে পারেন, যা নির্ভর করে কোন ফ্লেভারের আইসক্রিম খাচ্ছেন তার উপর। যেমন, ভ্যানিলা ফ্লেভারের আইসক্রিমে ২০৫, চকোলেট ফ্লেভারে ২১৮, স্ট্রবেরিতে ১৯৭, কুকি স্যান্ডউইচে ২৪২, ক্রিম সানডে-তে ২৫২, ক্যারামেল-চকোলেটে ১৯৩ এবং ক্রাঞ্চি নাগেটে ৩৫২ ক্যালরি থাকে।
আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। আইসক্রিমে থাকে। এর মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন D, A, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং রিবোফ্লেভিন যায়। ডার্ক চকোলেট আইসক্রিম হলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লেভোনয়েডের জোগান বজায় থাকে, যা ব্যাড কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
আইসক্রিম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়। আইসক্রিমে সুগার থাকে, তাই বুঝেশুনে খাওয়া উচিত। তবে ক্লান্তি বোধ করলে, অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েল আইসক্রিম চেখে দেখতেই পারেন।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে আইসক্রিম। আইসক্রিম ফারমেন্টেড খাবারের গোত্রে পড়েস যা শ্বাসযন্ত্র এবং গ্যাস্ট্রোইনস্টেনটিনালের জন্য উপকারী।
আইসক্রিম খেলে মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়ে। একটি সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে, সকালে আইসক্রিম খেলে চটজলদি বুদ্ধ খাটিয়ে কাজ করতে পারেন মানুষ।
হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে আইসক্রিম। আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকায় হাড়ের গঠন মজবুত হয়। তাই ডায়েটে আইসক্রিম রাখুন।
আইসক্রিম খেলে মন থাকে ফুরফুরে। কারণ আইসক্রিম খেলে সেরোটোনিন হরমোন তৈরি হয় শরীরে, যা কিনা গুড হরমোনের মধ্যে পড়ে। তাতে মন ভাল থাকে।
আইসক্রিম খাওয়া শারীরিক ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে সহায়ক। এতে কোষে অক্সিজেন এবং শরীরে PH-এর ভারসাম্য বজায় থাকে। ফসফরাস আবার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধেও হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে আইসক্রিম। তাই মহিলাদের জন্য ডায়েটে ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ আইসক্রিম রাখা উপকারী।
আইসক্রিম খেলে ওজন বাড়ে, এই ধারণা সর্বৈব সত্য নয়। কারণ ঠান্ডা কিছু খেলে স্বাভাবিক নিয়মেই ক্যালরি ঝরতে শুরু করে। তবে অবশ্যই তা পরিমাণ মতো হওয়া উচিত।
সন্তানধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে আইসক্রিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। আইসক্রিমের মতো হাই-ফ্যাট ডেয়ারি খাবার নিয়মিত খেলে, সন্তানধারণের ক্ষমতা বাড়ে বলে একটি সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে।
তবে অত্যধিক আইসক্রিম খেলে স্থূলতা, হজমের সমস্যা বাড়ে। তাই কম মিষ্টিযুক্ত আইসক্রিম অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে দু’বারের বেশি আইসক্রিম না খাওয়াই ভাল। দোকান থেকে কিনে খাওয়ার বদলে বাড়িতে আইসক্রিম তৈরি করুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -