Precaution From JN.1:করোনার JN.1 সংক্রমণ এড়াতে কী কী করবেন?
বর্ষশেষের মুখে নতুন করে ভয় ধরাতে শুরু করেছে করোনা-সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এবার নেপথ্যে কোভিড-১৯ -র একটি নির্দিষ্ট সাব ভ্যারিয়্যান্ট, JN.1। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ওমিক্রন গোত্রের। এখনই একে নিয়ে 'প্যানিক' করার কিছু নেই। তবে আগের মতো এবারও কিছু সতর্কতা মেনে চলা দরকার রয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকাশির সময় নির্দিষ্ট কিছু নিয়মবিধি মেনে চলা, নির্দিষ্ট সময়ে ভাল করে হাত পরিষ্কার করা এবং উপসর্গ দেখা দিলেই কর্মস্থল বা স্কুল-কলেজ থেকে বিরতি---এই নিয়মের অন্যতম। পাশাপাশি আরও কিছু সতর্কতার কথা জানাচ্ছেন ডাক্তররা।
৬৫ এবং তাঁর থেকে বেশি বয়সিরা যখন বাইরে বেরোচ্ছেন, বাড়তি সতর্কতা দরকার। তা ছাড়া শিশুদের জন্যও একই পরামর্শ থাকছে। ডায়াবিটিস, ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা, ক্যানসার বা হার্টের অসুখ থাকলেও এই সময়টা বাইরে বেরোনোর আগে একটু বেশি সাবধানতা জরুরি। (ছবি:PIXABAY)
এই শ্রেণিভুক্ত (ভালনারেবল গ্রুপ) কারও যদি কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, তা হলে এক মুহূর্ত ফেলে রাখা যাবে না। ডাক্তারদের মতে, এমনিতেই এঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তার উপর করোনা হানা দিলে সব মিলিয়ে অবস্থা জটিল হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই ডাক্তারের কাছে যান।
ওমিক্রনের তুলনায় JN.1 সংক্রমণে অসুস্থতা বেশি হয়, এমন কোনও প্রমাণ এখনও বিশেষজ্ঞরা পাননি। তবে একটি বিষয় চিন্তার। এই সাব ভ্যারিয়্যান্ট থেকে খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই সাবধানতা দরকার।
সাধারণ ভাবে, ভাইরাসের বিবর্তনের নিয়ম অনুসারে, যত তার রূপ বদলায় তার প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। তবে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা বেড়ে যায়। টিকে থাকার স্বার্থেই এই ভাবে বদলায় ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এক্ষেত্রেও সম্ভবত এমনই হয়েছে। ফলে JN.1 সংক্রমণে মৃত্যুহার নিয়ে সে ভাবে চিন্তার কারণ এখনও নেই। তা বলে গাফিলতি করা যাবে না।
বিশেষত বয়স্ক এবং যাঁদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সুতরাং এই শ্রেণিভুক্তদের সতর্ক থাকতেই হবে। (ছবি:PIXABAY)
টিকাকরণ আবশ্যক। তার পর নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষাও জরুরি। পাশাপাশি সার্বিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে হবে। তার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম-এককথায় জীবনশৈলির সবকটি দিকেও খেয়াল রাখা দরকার। এবং অবশ্যই কোনও ব্যাপারে ঢিলেমি দিলে চলবে না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -