NeoCov Variant: অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় কতটা ভয়ঙ্কর করোনার নয়া রূপ নিওকভ?
গত দুটো বছর ধরে সারা বিশ্বে করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি চলছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে (Covid19)। প্রতিদিন বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appডেল্টা, ওমিক্রন, ফ্লোরোনা, ইহুর পর এবার ফের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেল এই মারণ ভাইরাসের। নিওকভ (NeoCov)। ইতিমধ্যেই উহানের বিজ্ঞানীরা এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসের যতগুলি ভ্যারিয়েন্ট এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর হতে চলেছে এই নিওকভ ভ্যারিয়েন্ট। গবেষকদের মতে, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে প্রতি তিন জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হদিশ মেলে। গবেষকদের মতে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিওকভ সংক্রামক প্রাণীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে।
বিশেষ করে বাদুড়ের মধ্যে এটি দেখা গিয়েছে। মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হতে শুরু করলেই এটি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিওকভ এখনও পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। তাই সঠিকভাবে এর লক্ষণগুলি বলা না গেলেও বেশ কিছু উপসর্গের কথা জানাচ্ছেন তাঁরা।
করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গের মতোই জ্বর, স্বাদ এবং গন্ধের শক্তি হারিয়ে যাওয়া, ডায়রিয়া, নাক থেকে জল পড়া, বুকে ব্যথা, কাশি, মাথার যন্ত্রণা, সারা গায়ে ব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা, পেশিতে টান ধরার মতো উপসর্গগুলি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার ভ্যারিয়েন্ট ইহুর যখন সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল, তখন গবেষক থেকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন যে, মাঝেমধ্যেই এই মারণ ভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেখা যাবে।
পাশাপাশি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিওকভ এর আগেও দেখা গিয়েছিল বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ফের চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কীভাবে এই নয়া রূপ সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -