Sugar Replacement: চায়ে চিনি মানেই বিষ! কাজে লাগাতে পারেন ভেষজ টোটকা
রাতে যত ভাল ঘুমই হোক না কেন, সকালে উঠে এক কাপ চা না হলে চলে না। মুহূর্তে চনমনে হয়ে ওঠে মন। দূর হয়ে যায় যাবতীয় ক্লান্তি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভারতীয়দের কাছে চা মানেই তাতে চিনি থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে চিনি ছাড়া চা খেয়ে কোনও রকমে আশ মেটে।
কারণ চিকিৎসকদের মতে, দিনে দু’বার চায়ে যদি দু’চামচও চিনি মেশানো হয়, তা এক বছরে চার কেজি ওজন বৃদ্ধির সমান। তার উপর উচ্চ রক্তচাপ, সুগারের ঝুঁকিও রয়েছে।
কিন্তু চিনি নাই বা খেলেন, তার বিকল্প হিসেবে হাতের কাছে একেবারে ভেষজ টোটকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শুধু চায়ের মিষ্টতাই বাড়বে না, ভেষজের গুণাগুণ পৌঁছবে শরীরেও।
চিনির বিকল্প হিসেবে যষ্টিমধু, ইংরেজিতে যা লিকারিশ, হিন্দিতে মুলেঠি, নামে পরিচিত, তা চায়ে যোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এটা আদতে শিকড়।
বাজারে যষ্টিমধু পাওডার কিনতে পাওয়া যায়। চিনির মতো মিষ্টি না হলেও, স্বাদের মেটানোর মিষ্টতা যোগ করে চায়ের কাপে।
যষ্টিমধু গলা দিয়ে গেলে কাশিও দূর হয়। এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। আলসার, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, ক্যাভিটিও দূর হয়।
বাজার থেকে যষ্টিমধু পাওডার কিনে অনেকেই চায়ে মিশিয়ে নিয়মিত পান করেন। তবে যষ্টিমধুর গুণাগুণ, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এখনও বিশদ গবেষণা বাকি। তাই সামগ্রিক প্রয়োজনীয়তা মেটানোর ক্ষেত্রে পরামর্শ নিয়ে তবেই তা মুখে দেওয়া উচিত।
তবে সাধারণত দিনে ১ গ্রাম তার চেয়ে কম পরিমাণ যষ্টিমধু রোজ শরীরে গেলে, চিন্তার কোনও ব্যাপার নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ১ গ্রাম অর্থাৎ একচামচ যষ্টিমধু পাওডার।
তবে প্যাকেটে যষ্টিমধু পাওডার না কেনাই ভাল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের দাবি, হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে এবং তার জন্য নিয়মিত ওষুধ খেলে, যষ্টিমধু শরীরে তার উপর নৈতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -