Health News:মাইগ্রেনে কেন বেশি কষ্ট মহিলাদেরই? মোকাবিলার উপায় কী?
'প্রায়ই শুনি মাথাব্য়থা! অফিস থেকে ফিরে আলো নিভিয়ে শুয়ে থাকে। কখনও আবার বমিও করে। ভাল করে ডাক্তার দেখায় না কেন কে জানে।'কথাগুলো চেনা চেনা লাগছে তো?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসমস্যার নাম? মাইগ্রেন। শব্দটা চেনা। এই সমস্যায় ভোগেন, আশপাশে এমন মানুষের সংখ্য়াও নেহাত কম নয়। কিন্তু সমস্যাটি যে পুরুষদে তুলনায় নির্দিষ্ট বয়সের মহিলাদের অনেক বেশি ভোগায়, সে কথা হয়তো অনেকের অজানা।
পুরুষদের মাইগ্রেন হয় না, এমন নয়। কিন্তু একাধিক গবেষণায় স্পষ্ট, মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যা পুরুষদের তুলনায় ৩-৪ গুণ বেশি। তবে, মহিলাদের মধ্যে এক এক বয়সে মাইগ্রেনের প্রকৃতি, স্থায়িত্ব, ব্যথার ধরন এবং তীব্রতার এক এক রকম হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর মূল কারণ হরমোনের ওঠানামা।
ঋতুস্রাব বা মেনস্ট্রুয়েশন, ওরাল কনট্রাসেপটিভ, প্রেগন্যান্সি, ল্য়াকটেশন, মেনোপজ বা ঋতুবন্ধ---একাধিক কারণ থাকতে পারে মাইগ্রেনের ভোগান্তির।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলাদের মধ্যে যে হরমোনের কারণে মাইগ্রেনের সমস্য়া বাড়তে পারে, তার নাম ইস্ট্রোজেন।
ডাক্তাররা মনে করেন, ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্য মহিলাদের মাইগ্রেন-সমস্যার বড় কারণ। দেখা যায়, বহু মহিলারই ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার ২-৩ দিন আগে মাইগ্রেন সমস্যা বেশি হতে চায়। কারও কারও আবার ঋতুস্রাব চলাকালীনও যন্ত্রণা হতে পারে।
এই সমস্যা মূলত ঋতুযোগ্য বয়সের মেয়ে ও মহিলাদেরই (২০-৫০ বছর) বেশি ভোগায়। তাই বহু ডাক্তারের অভিজ্ঞতা বলছে, একটা বয়সের পর বড় অংশের মহিলাদের মাইগ্রেন নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে।
কিন্তু তার মানে কখনই এটা নয় যে, মাইগ্রেনে চিকিৎসা করা যাবে না। কারণ সেক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ আসতে পারে, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইগ্রেনে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের আশঙ্কা ১৬-১৭ বেশি। তা ছাড়া, সন্তানপ্রসবের সময়ও জটিলতা তৈরি হতে পারে, বলছেন ডাক্তারদের অনেকে। কাজেই এটি ফেলে রাখা যাবে না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -