Exit Poll 2024
(Source: Poll of Polls)
Intermittent Fasting : দিনে ১৪-১৬ ঘণ্টা উপোস করে ওজন কমানো সম্ভব? সেলিব্রিটিদের এ ব্যাপারে অনুসরণ করবেন কি ?
স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান ভারতী সিং থেকে অভিনেত্রী-সাংসদ স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি নজর কেড়ে নিয়েছে এঁদের হঠাৎ করে তন্বী হয়ে ওঠা। খুব কম সময়েই অনেকটা ওজন ঝরিয়ে (weight loss) এক্কেবারে চমকে দেওয়া চেহারায় সকলের সামনে হাজির হয়েছেন তাঁরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসূত্রের দাবি, এঁরা নাকি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করে থাকেন ! এভাবেই খুব দ্রুত ওয়েটলস গোল অ্যাচিভ করা যায়। ১৬ ঘণ্টা উপোস থেকে বাকি সময় পেট ভরে খাওয়াই এই ফাস্টিং-এর মূল কথা। অর্থাৎ ক্যালরি ইনটেক করোস আর বিশাল সময় কিচ্ছুটি না খেয়ে তা বার্ন করে ফেলো। বিষয়টা তেমনই। কিন্তু এই পদ্ধতি কতটা স্বাস্থ্যকর ?
ফর্টিস হাসপাতালের Clinical Nutrition & Dietetics- এর প্রধান মিতা শুক্লা জানালেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই উপোস করে রোগা হওয়ার পদ্ধতি কাউকে প্রেসক্রাইব করেন না।
পুষ্টিবিদের মতে, এই ধরনের ডায়েটিং আদৌ কতটা কার্যকরী, এই নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সার্ভে রিপোর্ট এই দেশের মানুষের উপর করা হয়নি। পশ্চিমি দেশে পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে দিনের শেষ খাওয়াটা বিকেল সাড়ে ৫ টার মধ্যেই শেষ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই লাইফস্টাইলগ্রহণ সম্ভব নয় ।
অনেকে রাত অবধি কাজ করছেন। তাদের ক্ষেত্রে না-খেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করাটা কঠিন। আমাদের দেশের খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই আলাদা। তাই সেক্ষেত্রে খিদে পেয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। আর নিজের খিদেকে দমিয়ে মাথার কাজ করা খুবই কষ্টকর।
পুষ্টিবিদের মতে, হয়ত এতটা উপোসের পর কিছুটা ব্লাড সুগার কমে, ওজনও ঝরে, কিন্তু তা আদৌ স্বাস্থ্যকর কিনা তা নিয়ে আমাদের দেশের নিরিখে কোনও তথ্য নেই। কারও হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ইতিহাস থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ে। এমনকী মানুষের জীবন নিয়ে টানাটানিও হতে পারে
এই ফাস্টিং-এর সমর্থকরা বলেন, ১৬ ঘন্টা টানা উপোসের পর বাকি ৮ ঘন্টা অল্প অল্প করে খান। এতে পেটের মেদ থেকে শরীরের বিভিন্ন জায়গার বাড়তি মেদ দ্রুতই ঝরে। যাঁরা ভুঁড়ি কমাতে চান তাঁদের জন্য দারুণ কাজ করে এই ফাস্টিং। কিন্তু এর বিপরীত চিত্রও ভীষণ প্রকট।
নিউট্রিশনিস্ট মালবিকা দত্ত (Dept head of B.M.Birla Heart Research Centre) জানালেন, তিনিও এই ডায়েট কাউকে প্রেসক্রাইব করার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। কারণ, এই ডায়েটে ওজন তাড়াতাড়ি ঝরে গেলেও লিভারে ফ্যাট জমতে পারে । এর ফলে ফ্যাটি লিভার থেকে শুরু করে সিরোসিস অফ লিভার পর্যন্ত হতে পারে
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর বিরুদ্ধে যাঁরা, তাঁদের মতে , কম সময়ে এই পদ্ধতিতে ওজন কমে ঠিকই, কিন্তু এর ফল মারাত্মক । ইন্টারনেট দেখে যে কোনও রকম ডায়েটি্ং শুরু করাই মারাত্মক ক্ষতি করে । পরবর্তীকালে এই ডায়েট থেকে হঠাৎ করে সরে এলেও শরীর খারাপ ভাবে রিঅ্যাক্ট করতে পারে।
পুষ্টিবিদদের কারও কারও দাবি, অনেক পেশার ক্ষেত্রেই খুব কম সময়ে ওজন ঝরানোর লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব কিন্তু মোটেই ইতিবাচক নয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -