National Safe Motherhood Day 2022: আজ সুরক্ষিত মাতৃত্ব দিবস, অন্তঃসত্ত্বাদের স্বাস্থ্য, মৃত্যুর হার কমানোর উদ্যোগ
আজ সুরক্ষিত মাতৃত্ব দিবস। প্রতি বছরের ১১ এপ্রিল দিনটি পালন করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন হবু মায়েদের যত্ন, সন্তানের জন্ম, মা হওয়ার পরের ধাপে মায়েদের যত্নের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হয় আজকের দিনে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App২০০৩ থেকে প্রতি বছর দিনটি পালন করা হচ্ছে। ১,৮০০-রও বেশি এনজিও-র মিলিত সংগঠন হোয়াইট রিবন অ্যালায়েন্সই প্রথম মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার কমানো এবং নবজাতকদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে। এই সংগঠনের উদ্যোগেই সুরক্ষিত মাতৃত্ব দিবস পালন করা শুরু হয়।
ভারতে প্রতি বছর ৩৫ হাজারেরও বেশি মহিলা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যত্নের অভাবে মারা যান। এই মৃত্যুর হার কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ করে আজকের দিনে অন্তঃসত্ত্বাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে।
১১ এপ্রিল কস্তুরবা গাঁধীর জন্মদিবস। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার সুরক্ষিত মাতৃত্ব দিবস হিসেবে এই দিনটিকে বেছে নিয়েছে।
এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে সুরক্ষিত মাতৃত্ব দিবসের থিম জানানো হয়নি। তবে হোয়াইট রিবন অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা ও সদ্য মা হওয়া মহিলাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার কমানো নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এবং সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় নানা কারণে অন্তত ৮৩০ জন মহিলার মৃত্যু হয়। একটু সচেতন থাকলে এবং যত্ন নিলে এই মৃত্যু এড়ানো যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হোয়াইট রিবন অ্যালায়েন্সের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার কমানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। বিশ্বজুড়ে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৭০-এ নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য রোজ ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। ভাল ঘুম না হলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ঠিকমতো ঘুম যাতে হয়, সে বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনিদ্রা, পেশিতে ব্যথা, অতিরিক্ত ওজন, মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখার সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত। রোজ অন্তত আট গ্লাস জল খাওয়া উচিত।
অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন খাবারের বিষয়েও সচেতন থাকা উচিত। বেশি পরিমাণে খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। পালংশাক, কমলালেবু, গাজর, আপেল, কলা, ব্লুবেরি খাওয়া যেতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -