Pre Wedding check up: বিয়েরপূর্বে সমস্যা এড়াতে সবার আগে এই তিনটি পরীক্ষা অবশ্যই করান

Pre-Marriage Medical Tests: আজকাল অনেকেই বিয়ের আগে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিতে চান না। তাই তারা সঙ্গীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে চান। কীভাবে, আসুন জেনে নিই।

বিয়ের আগে কী কী পরীক্ষা করানো প্রয়োজন?

প্রথম জরুরি পরীক্ষা হল এসটিডি পরীক্ষা। এটি সেইসব সংক্রমণ শনাক্ত করতে সাহায্য করে যা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। এদের মধ্যে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং সিফিলিসের মতো রোগ অন্তর্ভুক্ত।

প্রাথমিক পর্যায়ে এদের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, তাই আগে থেকে পরীক্ষা করানো উভয় সঙ্গীর সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

দ্বিতীয় টেস্টটি হল জেনেটিক কম্প্যাটিবিলিটি টেস্ট। এর মাধ্যমে জানা যায় যে, দুই সঙ্গীর জিনে এমন কোনো সমস্যা আছে কিনা যা সন্তানের মধ্যে বংশগত রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

এই পরীক্ষাটি ভবিষ্যতে সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তৃতীয়টি হলো ফার্টিলিটি টেস্ট। আজকের দৌড়ঝাঁপ ও চাপপূর্ণ জীবনে অনেক পুরুষ ও মহিলার প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা হয়। এই টেস্টটি জানায় যে উভয়ের ফার্টিলিটি স্বাভাবিক আছে কিনা।

Continues below advertisement

এই পরীক্ষাগুলি করানোর আগে সঙ্গীদের মধ্যে সততা এবং বিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। এটি কারও প্রতি সন্দেহ নয়, বরং দায়িত্বের লক্ষণ। তাই আপনি যদি বিবাহের কথা ভাবছেন, তবে এই পরীক্ষাগুলি সম্পর্কে একবার অবশ্যই চিন্তা করুন।

যদি বিয়ের পরে কারও স্বাস্থ্য সমস্যা হয়, তাহলে সম্পর্কে চাপ বাড়তে পারে। তাই বিয়ের আগেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাওয়া ভাল।

আজকালকার দিনে, যুব সমাজ এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশ সচেতন। বিশেষ করে শহরগুলোতে দম্পতিরা খোলামেলাভাবে এই টেস্টগুলো করাচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।