Pregnancy Diet: ১৩টি খাবার যা গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় থাকতেই হবে
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই একান্ত প্রয়োজনীয়। খাবারে যাতে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। ফলে যে কোনও দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য রোজকার খাদ্যতালিকায় থাকতেই হবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগর্ভবতী মহিলাদের রোজের খাবার তালিকায় ডাল, সোয়াবিন, বাদাম জাতীয় খাদ্যদ্রব্যও থাকা প্রয়োজন। এই জাতীয় খাদ্যদ্রব্যে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ফোলেট ও ক্যালসিয়াম থাকে। এই সমস্ত কিছুই শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয়।
মিষ্টি আলু বা রাঙা আলু শুধু খেতেই যে সুস্বাদু তা নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে। এটি উদ্ভিদে পাওয়া এক ধরণের যৌগ যা মানব শরীরে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। রাঙা আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও পাওয়া যায়।
স্যামন মাছও হবু মায়েদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপকারী। এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা বাচ্চার মস্তিষ্ক ও চোখের পুষ্টি জোগায়।
খাদ্যতালিকায় ডিম থাকা মাস্ট। ডিমে প্রায় প্রয়োজনীয় সব রকমেরই পুষ্টি মজুত থাকে। একটা বড় ডিমে ৮০ ক্যালরি, প্রচুর প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে।
সবুজ শাকসব্জি তো অবশ্যই যে কোনও পুষ্টিকর খাদ্যতালিকার অন্যতম প্রধান উপাদান। এতে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম থাকে।
চর্বিহীন মাংস শরীরে উচ্চমানের প্রোটিন জোগায়। নানা ধরনের রেড মিটে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে যা রক্ত গাঢ় করতে সাহায্য করে।
চর্বিহীন মাংস শরীরে উচ্চমানের প্রোটিন জোগায়। নানা ধরনের রেড মিটে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে যা রক্ত গাঢ় করতে সাহায্য করে।
গোটা শস্য অবশ্যই পুষ্টিকর খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত। এর থেকে ফাইবার, ভিটামিন মেলে। কিছু গোটা দানা শস্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনও থাকে।
অ্যাভোকাডোয় মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এর ফলে এই ফলে স্বাদ খানিকটা মাখনের মতো হয় এবং কোনও রান্নায় দিলে তার ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। এতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, তামা থাকে।
শুকিয়ে নেওয়া ফলে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, ফাইবার, বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। এক টুকরো ড্রাই ফ্রুটে একটা তাজা ফলের সমান পুষ্টি থাকে। ফলটা শুধু জল ছা়ড়া হয়।
মাছের যকৃৎ থেকে প্রাপ্ত তেলও শরীরের পক্ষে খুব ভাল। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড EPA ও DHA থাকে। এগুলিও মস্তিষ্ক ও চোখের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয়।
সর্বোপরি যা প্রয়োজন তা হল বিপুল পরিমাণে জল খাওয়া। শরীরকে যথাসম্ভব হাইড্রেটেড রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়। গর্ভাবস্থায় রক্তের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকা খুব দরকার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -