Suicide Prevention : করোনাকালে একাকীত্বে বাড়ছে আত্মহত্যাপ্রবণতা, কীভাবে বুঝবেন? কীভাবে থাকবেন পাশে?
'' ছেলেটার চাকরি চলে গেল। টাকা দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। সংসার চলছে না। আমার চিকিৎসা করাতে গিয়ে ওর তো দুইবেলা খাবারও জুটছে না'' - করোনাকালে এমনভাবেই একাকীত্ব, অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছেন অনেকেই। অনেকের ঘটেছে প্রিয়জন বিয়োগ। তাই বাড়ছে একাকীত্ব। সেই সঙ্গে বাড়ছে আত্মহত্যা প্রবণতা।'
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appডা. সুজিত সরখেল। (Indian Psychiatric society - র সুইসাইড প্রিভেনশন বিভাগের কোঅর্ডিনেটর) জানালেন, এই সময়ে দেশে যুবাদের মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা যেমন বেড়েছে, তেমনভাবে প্রবণতা বেড়েছে বয়স্কদের মধ্যেও।
image 4
চিকিৎসক সুজিত সরখেল জানালেন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন আত্মহত্যা আটকাতে । একদিকে বন্ধ করতে হবে আত্মহত্যা করার মূল উপায়গুলি। অন্যদিকে মানসিকভাবে ভাল রাখতে হবে কাছের মানুষদের।
প্রথমত হাতের কাছ থেকে সরিয়ে রাখতে হবে কীটনাশক জাতীয় জিনিস। শ্রীলঙ্কার মতো দেশে চাষবাসে ব্যবহৃত কীটনাশক রাখা হয় একটি নির্দিষ্ট গোডাউনে। তা বাড়িতে মজুত করা যায় না। রাগ বা উত্তেজনার মধ্যে কোনওভাবেই কেউ যেন হাতের কাছে কীটনাশক না পান।
শহরাঞ্চলে কীটনাশকের থেকেও ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার প্রবণতা বেশি। সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা করতে হবে, একই প্রেসক্রিপশন নিয়ে যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একাধিক বার ঘুমের ওষুধ কেনা না যায়। যদি ঘুমের ওষুধ বিক্রির পরে দোকান তারিখ সহ স্ট্যাম্প মেরে দেয়, তাহলে সেই প্রেসক্রিপশন নিয়ে তিনি আবার অন্য দোকানে গিয়ে কিনতে পারবেন না ঘুমের ওষুধ। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে প্যারাসিটামল বিক্রিও। কারণ অনেক প্যারাসিটামল ট্যাবলেট একসঙ্গে খেয়ে নিলেও নির্ঘাত মৃত্যু।
সবসময় তো ওষুধ বা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে না, অন্য উপায়ও আছে। তা রুখতে প্রয়োজন পাশাপাশি থাকা মানুষের সচেতনতা। আপনি খেয়াল রাখুন
কেউ ব্যক্তিগতভাবে হতাশা বা একাকীত্ব অনুভব করলে কিংবা করোনাকালে ইনসিকিওরড অনুভব করলে কলকাতা পুলিশের প্রণাম উদ্যোগের সঙ্গে কিংবা বিধাননগর পুলিশের সাঁঝবাতি-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। নিজের প্রয়োজনের কথা জানাতে পারেন। সেই সঙ্গে কোনও এনজিওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কথা বলতে পারেন কোনও কাছের আত্মীয়র সঙ্গেও।
নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য কোনও পোষ্য রাখতে পারেন, তাহলে নিজে বাঁচার তাগিদ অনুভব করবেন।
ডা. সরখেল জানালেন, করোনাকালে অনেকেই হারিয়েছেন তাঁর স্বামী বা স্ত্রীকে। ছেলেমেয়েরাও হয়ত কাছে নেই। তখন একাকীত্ব ও জীবনের প্রতি অনাগ্রহটা চরমে ওঠে। এই সমস্যা নিয়ে বহু রোগী তিনি পেয়েছেন। এই সঙ্কট কাটাতে এই সময় আমাদেরকেই পাশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, এছাড়া উপায় নেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -