Summer Diet: গরমে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত জল, সঙ্গী হোক ফলও
গ্রীষ্মকাল আসছে। গ্রীষ্মকালীন দেশ হলেও গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় লাগে আমাদের। গরম পড়লে খিদে কমে যায়, শরীরে প্রয়োজন হয় জলেরও। শরীরে জলের জোগান কমে যাওয়া ঠেকাতে খেয়াল রাখতে হয় প্রথম থেকেই। ডাবের জল থেকে ফলের রস প্রয়োজন লাগে এই ধরনের খাবারেরই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগরম থেকে মুক্তি মিলতে প্রয়োজন ঠান্ডা খাবারের। ডায়েটে নিয়মিত রাখা যেতে পারে ফল ও জলীয় পদার্থ। গরমের সময় ডায়েট হতে হবে এমন, যা খিদে মেটানোর পাশাপাশি শরীরও ঠান্ডা রাখে। সূর্যের প্রখর তাপ থেকে যাতে শরীরের ক্ষতি না হয়। তার জন্য খেয়াল রাখতে হবে বেশকিছু দিকে।
গরমে অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে এসি ঘরে ঘুমনোর। আরাম হলেও সমস্যা থেকেই যায়। এসি ঘরে ঘুমোলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। শুকিয়ে যায় ত্বক। দিনভর এসিতে থাকলে অনেকসময় চোখ জ্বালা, ত্বক জ্বালা করার ঘটনাও হতে পারে। এসব থেকে বাঁচতে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে জল খাওয়ার দিকে। সকাল শুরু করা উচিত দুই থেকে তিন গ্লাস জল খেয়ে।
সকালে লেবুর জল, বা মৌরি ভেজানো জলও খাওয়া যেতে পারে। আমলার রসও অত্যন্ত উপকারী। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা অত্যন্ত উপকারী। গরমকালে ডাবের বা নারকেলের জলও স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।
সকালে পেট ভরে খেতেই হবে। ব্রেকফাস্টে ফল রাখা ভাল। বিভিন্ন মরসুমি ফল দিয়ে ব্রেকফাস্ট করলে শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, পেট ভরানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টিও সরবরাহ হয় শরীরে। পোরিজ (porridge) বা ওটমিলও খাওয়া যেতে পারে। সকালে খেতে পারেন চিয়া সিডস (chia seeds)।
ব্রেকফাস্টের পরে এবং দুপুরে খাওয়ার আগে অনেকেই হালকা খিদে পায়। সেইসময় ভারী খাবার খেলে পেট ভরে যায়। এদিকে হালকা খাবারও বিশেষ খুঁজে পাওয়া যায় না। সেই সময় আপনার কাজে আসতে পারে বাটারমিল্ক (buttermilk)। সম্ভব হলে হালকা স্যালাড বা ডাবের জল খাওয়া যায় সেইসময়।
গরমের সময় দুপুরের খাবারেও নজর দেওয়া উচিত। বেশি তেলমশলাযুক্ত খাবারের বদলে বেশি করে খাওয়া উচিত নানা ধরনের সব্জি। নানা ধরনের সব্জির সুপ বা তরকারি খাওয়া যায়। প্রয়োজনে সামান্য কার্বোহাইড্রেট যোগ করতে পারেন লাঞ্চের মেনুতে।
বিকেলে চা-কফি চলতেই পারে। সারাদিনের কাজের পর ক্লান্তি কাটাতে এর জুড়ি নেই। চায়ের সঙ্গে রাখতে পারেন সামান্য কিছু বাদাম। পুষ্টিগুণের কারণে দূরে থাকবে ক্লান্তি ও দুর্বলতা।
গরমের সময় রাতের খাবার যতটা হালকা রাখা যায় ততই ভাল। খুব ভারী খাবার না খেয়ে জোর দেওয়া যায় নানা ধরনের সব্জিতে। বিভিন্ন সবজির সঙ্গে মাংস মিশিয়ে সুপের মতো করে খাওয়া যায়। এতে সহজপাচ্য খাবারের সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় পুষ্টিও মেলে। রাতের খাবারে রাখতে পারেন সুপও।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। ছবি: pixabay
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -