Health Tips : কিডনিতে হতে পারে স্টোন, এড়ান এই সবজি !
রান্নায় টোম্যাটো না দিলে কি চলে ? সবজি রান্না থেকে শুরু করে স্যালাড, সুপ, চাটনি তৈরিতে ব্যবহার হয় এটি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appটোম্যাটোয় রয়েছে ভিটামিন সি, লাইকোপিন, পটাশিয়াম। টোম্যাটোয় পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় অ্য়ান্টি-অ্যাক্সিডেন্টও।
ককথায় বলতে গেলে, শরীরকে জটিল রোগ থেকে রক্ষা করতে কাজে লাগে টোম্যাটো। কিন্তু, আপনি কি জানেন শরীরের পক্ষে যেমন উপকারী টোম্যাটো, তেমনি অধিক পরিমাণে টোম্যাটে খেলে তা শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
বেশি পরিমাণে টোম্যাটে খেলে কিডনি স্টোন হতে পারে। টমেট্যোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাওয়া যায়, যা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও আপনি সীমিত পরিমাণে টমেটো খেতে পারেন। ক্যালসিয়াম অক্সালেটের কারণে, ৯০ শতাংশ লোকের কিডনিতে পাথরের সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে, আপনি যদি ইতিমধ্যেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তবে শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে টোম্যাটো খান।
কেউ যদি হৃদরোগের ওষুধ খান, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই টোম্যাটো খাওয়া উচিত। আসলে টোম্যাটোকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বলে মনে করা হয়। এটি রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা কার্ডিওভাস্কুলারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লেক্সের সমস্যায় টোম্যাটো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। টোম্যাটোতে উপস্থিত অ্যাসিড এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
টোম্যাটোতে সোলানিন নামক একটি অ্যালকালয়েড থাকে যা জয়েন্টগুলিতে ফোলা এবং ব্যথার কারণ হয়। তাই টোম্যাটো বেশি খেলে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা হতে পারে। এছাড়া আরথারাইটিসও হতে পারে।
এর কারণে আপনার লাইকোপেনোডার্মিয়ার সমস্যা হতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়। আসলে, শরীরে লাইকোপিনের উচ্চ পরিমাণের কারণে এটি ঘটে। টোম্যাটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন পাওয়া যায়, তাই অতিরিক্ত পরিমাণে টোম্যাটো খাওয়া আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
টোম্যাটোতে উপস্থিত যৌগিক হিস্টামিন অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। টমেটো অতিরিক্ত সেবনের ফলে কাশি, হাঁচি, গলা জ্বালা, মুখ, মুখ ও জিহ্বা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলে টোম্যাটো খাওয়া উচিত নয়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -