Night Shift: কাজের সূত্রে টানা 'নাইট শিফট' করছেন? নজর দিন নিজের প্রতি, মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
কর্মসূত্রে আমাদের অনেককেই নাইট শিফট করতে হয়। অর্থাৎ সারারাত চলে কাজ। অফিসে বসে রাত জেগে কাজ করাটা বিশেষ সুবিধার নয়। বিশেষত টানা এভাবে কাজ করলে আমাদের শরীরে নানা রকমের প্রভাব পড়ে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতাই কর্মসূত্রে নাইট শিফট যাঁদের করতেই হয় তাঁদের অতি অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। নাইট শিফট করলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং আপনাকে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, সেগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
নাইট শিফট করার অন্যতম সমস্যা হল ঘুম পেয়ে যাওয়া। বিশেষ করে যাঁদের এমনভাবে কাজ করে অভ্যাস নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি। রাতে অফিসে কাজ করার সময় ঘুম বা আলস্য কাটানোর জন্য চা বা কফি খেতে পারেন।
কিন্তু যথেচ্ছ পরিমাণে চা-কফি না খাওয়াই ভাল। মাঝে মাঝে কাজ থেকে অল্প সময়ের জন্য বিরতি নিয়ে চা, কফি খেতে পারেন। এক্ষেত্রে চিনি, দুধ এড়িয়ে চলাই মঙ্গলের। অতিরিক্ত চা কফি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কাজের মাঝে বিরতি নেওয়া অবশ্যই দরকার। প্রয়োজনে ১৫-২০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে ঝিমানি ভাব দূর হবে। কাজে মনঃসংযোগ করতে পারবেন আপনি।
নাইট শিফট মানেই রাত জাগা। তাই আগের দিন ভালভাবে ঘুমের প্রয়োজন। টানা নাইট শিফটে কাজ করলেও পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। অতএব সময়ের হিসেব আপনাকেই করতে হবে এবং ঘুমোতে হবে। সঠিকভাবে রাতে না ঘুমোলে অফিসে গিয়ে ঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন না আপনি।
নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়ার দিকেও। অফিসে থেকে রাত জেগে কাজ করার হলে রাতের খাবার সঠিক সময়ে খাওয়া দরকার। বেশি রাত করে খেলে বদহজম, অ্যাসিডিটি ইত্যাদির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার। নাইট শিফট থাকলে ডিনার অর্থাৎ রাতের খাবারে ভাজাভুজি, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। এমন খাবার টিফিনে রাখুন যা সহজে খেয়ে নেওয়া যাবে এবং সহজপাচ্যও।
বডি হাইড্রেটেড থাকা খুবই জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ান্তরে জল খাওয়া প্রয়োজন।
নাইট শিফটে থাকাকালীন আপনি সঠিক পরিমাণে জল খেলে খাবার ঠিকভাবে হজম হবে। আপনার জেগে থাকতে কষ্ট হবে না। বরং সজাগ থাকবেন, কাজে মনঃসংযোগ বাড়বে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -