Unicef advisory:মৃদু উপসর্গমুক্ত করোনা সংক্রমণে বাড়িতে চিকিৎসায় ইউনিসেফের পরামর্শ
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চোখ রাঙাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও উদ্বেগ এতটুকু কমেনি। দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও এই রোগের আতঙ্ক প্রত্যেকের মনেই জুড়ে বসেছে। সামান্য সর্দি, জ্বর ও ফ্লুয়ের উপসর্গ দেখা দিলেই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কপালে। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃদু উপসর্গ দেখা গিলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কারণ, এর চিকিৎসা বাডিতে বলেই সম্ভব। রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ সংস্থা ইউনিসেফ এ ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের জন্য ইউনিসেফের পরামর্শ- সবার আগে অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আর এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১০ দিনের জন্য আইসোলেশনের জন্য আলাদা কামরা ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করে নিয়ে হবে। টিভি দেখে, বই পড়ে, বন্ধু-আত্মীয়দের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে মন হাল্কা রাখার চেষ্টা করতে হবে। পারলে হাল্কা ব্যায়ামও করা যেতে পারে। দরজা খুললে মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। যারা ওই রুমে ঢুকবেন, তাঁদেরও মাস্ক পরতে হবে।
হাওয়া-বাতাস চলাচলের জন্য জানালা খোলা রাখতে হবে।
বারেবারেই সাবান-জল দিয়ে হাত ধুতে হবে। নিজেই ডিসইনফেকট্যান্ট দিয়ে ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে।
নিজেই নিজের চিকিৎসা না করে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। রসুন, কর্পুর ও আজওয়ানের মতো সামগ্রীতে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে না।
শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে, শরীরে যন্ত্রণা হলে প্রতি ৪-৬ ঘণ্টায় প্যারাসিটামল খান। ৫০০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল ২৪ ঘণ্টায় ৪ টির বেশি খাওয়া যাবে না। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে অর্থাৎ বেশি করে জল খেতে হবে। মুখে স্বাদ না থাকলেও পুষ্টিকর খাওয়ার খেতে হবে।
শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হলে প্রতি ছয় ঘণ্টায় অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করুন। অক্সিমিটারে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪-এর কম হলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান।
প্রতি ছয় ঘণ্টা অন্তর শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন। যদি জ্বর থাকে তাহলে আরও কম সময় অন্তর তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। ১০১ ডিগ্রি তাপমাত্রা টানা তিনদিন থাকলে হাসাপাতালে যেতে হবে।
শ্বাসকষ্ট, ঠোঁট বা মুখ নীলচে হলে, অস্বস্তি হলে, বুকে লাগাতার চাপ বা ব্যাথা, কথা জড়িয়ে গেলে, জাগতে না পারা বা জেগে উঠতে না পারলে হাসাপাতালে যেতে হবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -