Haemophilia Symptoms: নিরাময় নেই কোনও, বংশানুক্রমেই শরীরে বাসা বাঁধে হিমোফিলিয়া
শরীর থাকলে, রোগও থাকবে। কিন্তু অনেক সময়ই তার নিরাময় মেলে না। রকম ফের থাকলেও হিমোফিলিয়া রোগও সেই গোত্রেই পড়ে। অথচ অধিকাংশ মানুষই হিমোফিলিয়ার সম্পর্কে অবগত নন। বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসে এই রোগের উপসর্গ, প্রভাব সংক্রান্ত খুঁটিনাটি জেনে নিন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appহিমোফিলিয়া হল একটি ব্লিডিং ডিজঅর্ডার। এই রোগে আক্রান্ত যাঁরা, তাঁদের শরীরের কোনও অংশ কেটে গেলে, বা কোথাও ক্ষত সৃষ্টি হলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না। রক্তে অ্যান্টি ফিমোফিলিক গ্লোবিউনের অভাবেই এমন ঘটে।
হিমোফিলিয়া একটি জিনগত রোগ। মানব শরীরে রক্ত তরল আকারে বয়ে চলে। এই তরল রক্তের মধ্যে থাকে ১ থেকে ১২ ফ্যাক্টর প্রোটিন, যার প্রভাবে কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত তৈরি হলে কিছু ক্ষণের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। কিন্তু কোনও একটি প্রোটিনের অভাব থাকলেও রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। ফলে বন্ধ হয় না রক্তক্ষরণ।
বংশগত ভাবে সাধারণত ত্রুটিযুক্ত জিনের কারণেই এই রোগ দেখা দেয়। কোনও মহিলা হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হলে তাঁর সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মায়ের থেকে ছেলেরাও আক্রান্ত হতে পারে হিমোফিলিয়ায়।
কিন্তু আর পাঁচটি রোগের মতো বাইরে থেকে দেখে হিমোফিলিয়া শনাক্ত করা যায় না। তাহলে কী করে বুঝবেন হিমোফিলিয়া রয়েছে কিনা? তার জন্য বিশেষ কিছু লক্ষণের দিকে নজর রাখতে হবে। যেমন, শরীরে কেটে যাওয়া বা ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ না হলে, পড়ে গিয়ে বা কোথাও আঘাত পেয়ে যদি গাঁটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, বেশ কিছু দিন কেটে যাওয়ার পরও ফোলা ভাব না কমে, অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত।
আবার প্রস্রাব বা মলের সঙ্গে রক্তপাত হলে, আঘাতের পর দীর্ঘ দিন কালশিটে ভাব থাকলে, মুখের মধ্যে বা নাক থেকে রক্ত পড়লেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে একটুতেই কোনও না কোনও সংক্রমণ শরীরে বাসা বেঁধে ফেলে। তা থেকে প্রাণ সংশয়ও হতে পারে। হিমোফিলিয়া একটি অত্যন্ত জটিল রোগ। এর নিরাময় এখনও বার করা যায়নি। বরং চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয় একটানা।
তাই এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। যেমন রক্ত তরল করে দেয়, এমন ওষুধ এড়িয়ে চলা উচিত। পেইনকিলার বিশেষ করে না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরকে সচল রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তার জন্য বিশেষ করে সাঁতার কাটার পরামর্শ দেন তাঁরা। এতে পেশি মজবুত হয় এবং গাঁটের আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ে বলে দাবি তাঁদের।
এই রোগ থাকলে দৌড়ঝাঁপ না করাই ভাল। অর্থাৎ চোট লাগার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন সব কিছু থেকে দূরে থাকতে হবে। শারীরিক কসরত করুন, কিন্তু ভারী জিনিস তুলবেন না।
শরীরে কোনও অংশে চোট লাগলে ফেলে রাখবেন না। বরং তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করতে হবে। আঘাত লেগে ফুলে গেলে আগে বরফ ঘষতে হবে। ফোলা ভাব না কমলে পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের।হিমোফিলিয়া রোগীরা যোগাসন করতে পারেন। বলাসন, সুখাসন, বজ্রাসন, তদাসন, শবাসন রোগীকে সুস্থ রাখে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -