Health Tips: যখন তখন, যেমন খুশি তেমন হলে চলে না, মেলে না কোনও উপকার, ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা জরুরি
সময় বদলেছে। তার সঙ্গে বদলেছে জীবনধারণের নীতি-নিয়মও। তাই শুধু ভাত-মুড়ি খেয়ে কাটিয়ে দেওয়া যায় না আজকাল। অনিয়মিত জীবনে রোজকার ডায়েটে ফল রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএকদম অরুচি না থাকলে, আমরা প্রত্যেকেই আজকাল ডায়েটে ফল রাখি। একটি বা দু’টি, অথবা একাধিক ফল নিয়ে ফ্রুট স্যালাডও তৈরি করে খাই। আবার গোটা ফলের পরিবর্তে ফলের রস খতে পছন্দ করেন অনেকে।
কিন্তু শুধু ফল খেলেই হল না। নিয়ম মেনে ফল খেতে হবে বলে বিশেষজ্ঞদের। ফল খাওয়ার সময় আমরা অনেকেই তার ধারি না বলে মত তাঁদের।
ফল শুধু খেলেই হল না, শরীরে তা লাগাও জরুরি। এখানেই আমরা কিছু ভুল করি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই হাতেনাতে সেই ভুলগুলি ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে পছন্দের খাদ্যসামগ্রী বেছে নেওয়ার তেমন সুযোগ ছিল না। তাই তাঁরা যে ভাবে ফল খেতেন, তা আজকের চেয়ে অনেক আলাদা। কখনও ব্রেকফাস্টে, কখনও আবার ঘুরতে ফিরতে সারাদিনই ফল খেতেন তাঁরা।
এ ভাবে ফল শরীরে গেলেও, তা উপকারে লাগে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে খাওয়ার আগে না পরে, গোটা না রস, ফল যে ভাবে খাচ্ছেন, গুণাগুণ নির্ভর করে তার উপর।
শরীর সচেতন মানুষরা মিল্কশেক বলতে অজ্ঞান। কিন্তু দুধ এবং ফলের পুষ্টিগত উপাদান পরস্পরের চেয়ে একেবারেই আলাদা। ফলে মিল্কশেক হজম হতে সময় লাগে অনেক।
ফল তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। কিন্তু দুধ হয় না। তাই মিল্কশেকের ক্ষেত্রে ফলে থাকা শর্করা পেটে গিয়ে গেঁজে যায়। তা থেকে গ্যাস, পেটফোলার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ফল আর দুধকে একসঙ্গে মিশিয়ে গলায় ঢালা বিষপানের সমান বলেও মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
বিদেশিদের অনুকরণে খাওয়ার শেষে ডেজার্ট এখন আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাতেও ফল রাখেন অনেকে। এতে শরীরে অত্যধিক মাত্রায় চিনি যায়, যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে খিদে পায়। হাবিজাবি খাওয়ার পরিবর্তে পেটে ফল চালান করে দিই অনেক সময়। কিন্তু রাতে যেহেতু শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকি না আমরা, সে ক্ষেত্রে বাড়তি শর্করার প্রয়োজন থাকে না। ফলে ফল গিয়ে ফ্যাট হিসেবেই জমা হয়।
গোটা ফলের পরিবর্তে ফলের রস পান করতে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু দু’টির মধ্যে ফারাক বিস্তর। ফলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি, ফাইবার থাকে। শুধু রস খেলে ফাইবার শরীরে যায়ই না। এর ফলে ফলের মধ্যে থাকা শর্করা সরাসরি রক্তে মিশে যায় এবং লিভারে জমা হয়, যা ফ্যাটে পরিণত হয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -