Walking: আলস্য কাটিয়ে শীতের সকালে হাঁটার অভ্যাস বজায় রাখলে পাবেন একগুচ্ছ উপকার
শীতের সকালে হাঁটাচলা করলে আপনি অনায়াসে কাটিয়ে উঠতে পারবেন সিজনাল এফেক্টিভ ডিসঅর্ডারের সমস্যা। আপনার মন ভাল থাকবে। কারণ ফিল গুড হরমোন হিসেবে পরিচিত এন্ডরফিন সঠিকভাবে নিঃসরণ হবে আমাদের শরীরে। এর পাশাপাশি হাঁটার অভ্যাস আমাদের অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেস কমিয়ে দেয়। তাই আলস্য কাটিয়ে হাঁটার অভ্যাস বজায় রাখুন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপ্রতিদিনের হাঁটাচলার অভ্যাস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শীতের সমস্যা অর্থাৎ জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি অনেকটাই রুখে দেওয়া সম্ভব। তাই হাঁটার অভ্যাস রাখা ভাল।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটার অভ্যাস অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে কাজ করে। দেহের মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করে। ফ্যাট বার্ন হতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরা শীতের সকালে আলস্য কাটিয়ে হাঁটাচলা করার অভ্যাস বজায় রাখুন।
নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও সারা শরীরে সঠিকভাবে যাতে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আপয়ার কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ ভাল থাকে। পাশাপাশি ভাল থাকে হৃদযন্ত্র। তাই হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের প্রবণতা কমে।
ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস। শীতকালে সর্দি লেগে অনেকেরই ফুসফুসে সংক্রমণ হয়, কমে জমে কষ্ট হয়। এইসব সমস্যা দূর করে হাঁটাচলার অভ্যাস। আপনার ফুসফুসে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে আনে। সার্বিকভাবে ভাল রাখে ফুসফুসের স্বাস্থ্য। ফলে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও সুবিধা হয়।
যেহেতু হাঁটাচলার মাধ্যমে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, তাই হাড়ের উপর আর অতিরিক্ত ওজনের চাপ পড়ে না। ফলে হাড়ের গঠন মজবুত ও সুদৃঢ় হয়। তবে পায়ে ব্যথা থাকলে বা হাড় সংক্রান্ত রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হাঁটাচলা করবেন না।
অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় পায়ের বিভিন্ন মাসল বা পেশীতে যন্ত্রণা রয়েছে। কারও আবার পায়ের বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্ট অংশেও যন্ত্রণা বুঝে গিয়েছে। এইসব ব্যথা বেদনা দূর করতেও কাজে হাঁটার অভ্যাস। এর ফলে পেশী শিথিল হয়। তাই মাসল ক্র্যাম্প, জয়েন্ট পেন ইত্যাদি সমস্যা কমতে পারে।
কগনিটিভ প্রবলেম- অর্থাৎ বয়সকালে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, স্মৃতিশক্তি ফিকে হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত হাঁটাচলার অভ্যাস জারি থাকলে এইসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়। প্রতিদিন হাঁটাচলা করলে আপনার মস্তিষ্কে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া চলে। সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে এই অভ্যাস।
ঘুমের সমস্যা থাকলে নিয়মিত হাঁটাচলার অভ্যাস চালু করুন। এর ফলে সেরাটোনিন নির্গত হয় যা আমাদের রাতে ভালভাবে ঘুমোতে সাহায্য করে।
সকালের রোদে থাকে ভরপুর ভিটামিন ডি। তাই সকালের দিকে হাঁটতে পারলে ভাল। তাহলে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি- এর ঘাটতি হবে না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হাড়ের গঠন মজবুত হয়। তাই হাঁটাচলার অভ্যাস বজায় রাখা সার্বিকভাবেই আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -