Life Lessons: অনুভূতি হতে পারে একতরফা, সাড়া না দিতেই পারেন সামনের জন, মেনে নিতে হবে বাস্তব
জীবন কখনওই বাঁধাধরা নিয়মে চলে না। তাই বাগে রাখা যায় না মনকেও। তার উপর হাজার ঝড়-ঝাপটা লেগেই রয়েছে জীবনে। এমন সময়ে নির্ভরযোগ্য কাউকে পাশে পেলে সুবিধে হয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতাই কেউ দু’টি ভাল কথা বললে, মন ভাল হয়ে যায় আমাদের। সামনের জনকে পরম বন্ধু বলে মনে হয়। অনেক সময় অসম্ভব ভাললাগা কাজ করে তাঁর প্রতি।
Gen-Z মহলে এই অনুভূতি ক্রাশ খাওয়া নামেই পরিচিত। কিন্তু অনেক সময় আমাদের কাউকে ভাললাগলেও, তাঁর ভাল না লাগতেই পারে। আকারে ইঙ্গিতে তা বুঝিয়েও দিতেও দ্বিধা করেন না তিনি।
এমন মুহূর্তে কার্যতই মাটির সঙ্গে মিশে যাই আমরা। আরও ভেঙে পড়ি মানসিক ভাবে। এ ক্ষেত্রে তাই মনে রাখা জরুরি যে, ভাললাগা আর ভালবাসা এক নয়। ভালবাসা গভীর এক অনুভূতি। ভাললাগা সেই তুলনায় অনেকটাই হালকা। তাই সেই ভাললাগা থেকে বেরিয়ে আসাও সম্ভব।
জীবনে এমনটা ঘটলে, প্রথমেই বাস্তবকে মেনে নিতে হবে। রাতারাতি ভাললাগা উবে যাবে না। একটু সময় দিতে হবে মনকে। বুঝতে হবে, মানুষ বিশেষে অনুভূতিও আলাদা। সব ক্ষেত্রেই সাড়া মিলবে, এমন নয়।
অনুভূতিকে বাক্সবন্দি করে রাখবেন না একেবারেই। কাউকে বলতে না পারলেও, নিজের সঙ্গে কথা বলতেই পারি আমরা। ডায়েরিতে উজাড় করে দিতে পারি আমরা। গান-বাজনা, ছবি আঁকাও অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। তাই যেন তেন প্রকারেই হোক না কেন, অনুভূতি প্রকাশ করুন।
যাঁর প্রতি ভাললাগা, তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়াতে হবে। মানসিক ভাবে এবং শারীরিক ভাবেও। নিজেকে গুরুত্ব দিন। সেরে ওঠার সময় দিন নিজের মনকে। নিজেকে আরও ভাল করে চিনতে শিখুন এই সময়ের মধ্যে।
শুনে খটকা লাগলেও, এই সময় যত গালগপ্পো থেকে দূরে থাকবেন, ততই ভাল। কী বলবেন, কতটুকু বলবেন, তার সীমারেখা ঠিক করুন। অপ্রয়োজনীয় আলোচনা যেতে যত বিরত থাকা যায়, তত ভাল।
রোজকার জীবনে নিজের খেয়াল রাখতে ভুলে যাই আমরা। এই সময়ে সেদিকে নজর দিন। নিজের শরীরে যত্ন নিন, মন ভাল রাখুন। ধ্যান করতে পারেন। পছন্দের বই পড়ুন।
তাই বলে নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নেবেন না। বাড়ির লোকের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। অনেক দিন ধরে ভেবেছেন হয়ত, কিন্তু করে উঠতে পারেননি। সেই লক্ষ্যপূরণে উদ্যোগী হোন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -