Anger Management: রেগে গেলে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না! আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন আগে
জীবিত কালে হাজারো আবেগ, অনুভূতির অভিজ্ঞতা হয় আমাদের। দয়া, মায়া, করুণা, ভালবাসা, স্নেহ, বিরক্তি, হিংসা, ক্ষোভ, রাগ কিছুই বাদ যায় না। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রাগ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমানুষের সমস্ত অনুভূতির মধ্যে রাগই হল সবচেয়ে শক্তিশালী। বিরক্তি কখন যে রাগে বদলে যায়, নিজেরাও বুঝতে পার না আমরা। তাতে অনেক সময় হিতাহিত জ্ঞান ভুলে যাই আমরা। রাগের বশে এমন কিছু করে ফেলি, পরে যার জন্য অনুশোচনা হয়।
কিন্তু মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই। রাগকেও বশ করা যায়। সামলে নেওয়া যায় নিজেকে। তার জন্য কিছু অবলম্বন করা জরুরি।
প্রতিক্রিয়া এবং সাড়া দেওয়ার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে প্রথমে। পরিস্থিতি বুঝে, সবদিক ভেবেচিন্তে সাড়া দেওয়া যায়। প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা কাজ করে না। চটজলদি কিছু কর ফেলি আমরা। তাই উল্টোদিক থেকে বিরক্তিকর কিছু ঘটলে, ভেবেচিন্তে এগনো ভাল।
রাগ প্রশমনে কাজে লাগান কল্পনাশক্তিকে। রেগে গেলে ঠিক কী ঘটাতে পারেন, আগে তা কল্পনা করে নিন। প্রয়োজনে রাগের মাথায় ঠিক কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানান, লিখে রাখুন।
এতে নিজেকে চিনতে, বুঝতে সুবিধা হবে। তাই যে কোনও পরিস্থিতিই আসুক না কেন, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে যাবেন। তাতে রাগও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
আগ্রাসী হওয়ার থেকে দৃঢ়চেতা হওয়া ভাল। প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রেও ঠান্ডা মাথায়, নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দেওয়া যায়। এতে কুকথা মুখে আনতে হয় না, আচরণ থাকে নিজের মুঠোয়।
রাগ নিয়ন্ত্রণে ধ্যান করতে পারেন। আধ্যাত্মিকতার শরণও নেওয়া যেতে পারে। এতে মেজাজ তিরিক্ষি হয় না সহজেই। অভ্যাস শুরু করলে দেখবেন আপনা আপনিই রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকছে।
শারীরিক শ্রম বাড়লে, এমনিতেই এনার্জি থাকে না। বরং হ্যাপি হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাতে সহজে রেগে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই শারীরিক ভাবে নিজেকে সক্রিয় রাখুন, ঘাম ঝরান।
পর্যাপ্ত ঘুম দৈনন্দিন জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ঘুম না হলে এমনিতেই মেজাজ বিগড়ে থাকে। তাই পান থেকে চুন খসলেই মেজাজ হারাই আমরা। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে পারেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -