Winter And Diabetes:শীতের মরসুমে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এইগুলি করছেন তো?
নামছে পারদ, জাঁকিয়ে বসছে শীত। আর শীত মানে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, আড্ডা, পিকনিক, সঙ্গে নানা উৎসব-অনুষ্ঠান। মোটের উপর, অনেকের জন্যই হই হই করে সময় কাটানোর আদর্শ সময় শীতকাল। কিন্তু স্বাস্থ্যের দিকেও যে সমান ভাবে খেয়াল করা দরকার, সেটি বোধহয় এর মধ্যে খেয়াল থাকে না আমাদের কারও কারও।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআরও কিছু সমস্যার মতো ডায়াবিটিসে আক্রান্তদেরও এই সময়টা বাড়তি সতর্কতা জরুরি। না হলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গিয়ে আনন্দের মরসুমে বিপদের ঘণ্টি বেজে উঠতে পারে। খুব সাধারণ কিছু নিয়ম মানলে এই সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব, বলেন ডাক্তাররা।
ঠান্ডার আমেজে আমাদের অনেকেরই শারীরিক মেহনতের বিষয়টি কমে যায়। এটি যাতে না হয়, খেয়াল রাখা দরকার। বাইরে বেরোতে না পারলে ইনডোর এক্সারসাইজ-ও করা যেতে পারে।
সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে একটু খাবারদাবারের বিষয়ও সচেতন থাকা দরকার। শীত মানেই নানা রকমের জিবে জল আনা খাবার। কিন্তু সব ভুলে তাতে কব্জি ডোবালে বিপদ হতে পারে। বরং, এই সময়ে সবুজ শাকসবজি, স্যুপ এগুলি বেশি করে খেতে পারেন, বলছেন ডাক্তাররা। বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর বীজও চলতে পারে।
শীতের সময় সাধারণ ফ্লু চেনা ব্যাপার। কিন্তু ডায়াবিটিকদের ক্ষেত্রে এই সাধারণ Flu-ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাই আগে থাকতে সতর্ক হওয়া দরকার। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে Flu ইঞ্জেকশন নিতে পারলে ভাল।
যতটা সম্ভব, গরম জামাকাপড় পরে থাকতে পারলে ভাল। হঠাৎ করে ঠান্ডার অনুভূতি হলে দেহে 'স্ট্রেস হরমোন'-র ক্ষরণ বাড়তে পারে যা থেকে রক্তে সুগারের মাত্রা এলোমেলো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যদি কারও ক্ষেত্রে আবহাওয়া-বদলের সঙ্গে মানসিক অবস্থার নির্দিষ্ট সম্পর্ক থেকে থাকে, তা হলে একটু বাড়তি সতর্কতা দরকার। এমনিতেই প্রত্যেকের জীবনে 'স্ট্রেস' নেহাত কম নয়। এই সময়টা স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং অবসাদের বিষয়ও আরও একটু বেশি সজাগ থাকা জরুরি।
এর পরও শীতে ডায়াবিটিসের সমস্যা হাতের বাইরে বেরিয়ে গেলে অপেক্ষা নয়। ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই একমাত্র উপায়। তবে সাধারণ ভাবে এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকে, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -