Video Games: ভিডিও গেমে প্রভাব যুক্তিবোধ, মাল্টিটাস্কিংয়ে?

ইদানিং অবসর কাটাতে শিশু-কিশোরদের ভরসা মূলত ভিডিও গেম। উন্নত দেশ হোক বা উন্নয়নশীল দেশ। সবক্ষেত্রেই পরিস্থিতিটা প্রায় একইরকম। টিভি বা কম্পিউটারে বসে ভিডিও গেমে বুঁদ বিভিন্ন বয়সের শিশু-কিশোররা।

অনেকক্ষেত্রেই খেলার মাঠ যেমন কমেছে। তেমনই কমেছে মাঠে গিয়ে খেলার অভ্যাসও। তার বদলে ভিডিও গেমেই মনোযোগ রয়েছে শিশু-কিশোরদের।

ভিডিও গেমের অপকারিতা বা কুপ্রভাব নিয়ে অনেকেই আলোচনা করেছেন। তবে ভিডিও গেমের নানারকম ভাল দিকও রয়েছে। অনেকেই বলে থাকেন বেশ কিছু উপকারও হয় এই অভ্যাসে।

কী কী উপকার? বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলে থাকেন, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তৈরি হয় যুক্তিবোধও। দ্রুতগতিতে খেলার জন্য হ্যান্ড-আই কোঅর্ডিশেন বৃদ্ধি পায়।

একসঙ্গে অনেককিছুদিকে খেয়াল রাখার অভ্যাস বা মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষমতা তৈরি হয়। চটজলদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তৈরি হয় পর্যবেক্ষণ শক্তি ও পরিকল্পনা তৈরির ক্ষমতা।

চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ভিডিও গেমের ব্যবহার কীভাবে করা যায়, তা নিয়েও একাধিক গবেষণা হচ্ছে বিশ্বে। যদিও ভিডিও গেমের নেশার কোনওরকম সুফল রয়েছে তা মানতে নারাজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশ।

যদিও সবার উপরে ভিডিও গেমের একইরকম প্রভাব পড়বে এমনটা নয়। ব্যক্তিভেদে আলাদা আলাদা প্রভাব পড়ে। খেলার অভ্যাস আর নেশার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। অতিরিক্ত ভিডিও গেম খেললে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

কী ধরনের ভিডিও গেম খেলা হচ্ছ। তারও প্রভাব থাকে। অ্যাকশনধর্মী ভিডিও গেম যেমন রয়েছে, তেমনই প্রবলেম সলভিং বা স্ট্যাটেজি গেমও রয়েছে। এক এক ধরনের খেলায় এক এররকম মানসিক প্রভাব রয়েছে।

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। ছবি: pixabay