Lifestyle Tips: কখনও রাতভর, কখনও আধ ঘণ্টা! কোন খাবার জলে ভেজাতেই হয়?
অনেক খাবারই এমন রয়েছে যা খাওয়ার আগে দলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। কোনওটা ঘণ্টাখানেক ভেজালেই হয়। কোনওটা আবার রাতভর জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এমন নিয়মই চলে এসেছে। কোনও কোনও খাবার ভিজিয়ে রাখলে তাড়াতাড়ি রান্নাও হয়ে যায়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিছু কিছু খাবার ভিজিয়ে রেখে তারপর খেলে একাধিক উপকারও হয়। অনেকসময় প্রাকৃতিক কিছু উপাদান থাকে যা ওই খাবার হজম করাতে সমস্যা তৈরি করে। ভিজিয়ে রাখলে সেই উপাদান জলে মিশে বেরিয়ে যায়। তাই জেনে নেওয়া প্রয়োজন, রান্না করার আগে বা খাওয়ার আগে কোন কোন খাবার ভিজিয়ে রাখা ভাল।
কাঁচা বাদামে উচ্চ মাত্রার ফাইটিক অ্যাসিড থাকে, যা বাদামের বাইরের স্তর হিসেবে কাজ করে। আমরা যখন সরাসরি বাদাম খাই, তখন তা পেটে কোনও সমস্যা তৈরি করতে পারে। পুষ্টি শোষণেও বাধা দেয়। বাদামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে, যা জলে ভিজিয়ে রাখলে সহজে পাওয়া যায়। ভিজিয়ে রাখলে আমন্ড বা আখরোট নরমও হয়ে যায়।
প্রতিদিনের খাবারে ডালজাতীয় শস্য থাকে। রাজমা, চানা, ছোলা বা কোনওরকম ডাল রান্না করার আগে জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এই শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইটিক অ্যাসিড এবং লেকটিন থাকে। রান্না বা খাওয়ার আগে এগুলিকে জলে ভিজিয়ে রাখলে এই যৌগগুলির মাত্রা কমে যায় এবং এতে থাকা জটিল উপাদান ভেঙে যায়। এর ফলে রান্নাতেও যেমন কম সময় লাগে, তেমনই হজমেও সুবিধা হয়।
যাঁদের বাড়িতে ভাত রান্না হয়। তাঁরা ভাত বসানোর আগে জলে চাল ভিজিয়ে রাখেন। ভেজাল ধুয়ে বের করার জন্য, চালে থাকা স্টার্চ বের করার জন্য ভিজিয়ে রাখতে হয়। কিনোয়া রান্না করার আগেও জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়।
শাকসবজি ভিজিয়ে রাখার নিয়ম খুব কম। সাধারণত ধুয়ে নিয়েই রান্না করে ফেলা হয়। কিন্তু কিছু শক্ত বা ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি যেমন আলু, ফুলকপি, বাধাকপি জলে ভিজিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। এতে সবজিতে থাকা ভেজাল বেরিয়ে যায়।
শুকনো ফল, যেমন এপ্রিকট, খেজুর, ডুমুর এবং কিসমিস, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। কিন্তু এতে সালফাইটও রয়েছে। যা কিছু কিছু লোকের অ্যালার্জির কারণ। এই সমস্যা দবর করতে শুকনো ফল জলে ভিজিয়ে রাখলে তাতে সালফাইটের পরিমাণ কমতে পারে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -