World Sleep Day: ঘুমে খুব সমস্যা? এড়াবেন কী কী? কোন নিয়ম মানবেন?
ঘুমোতে কে না ভালবাসে? সারাদিনের শ্রান্তি এক নিমেষে সেরে যায় যদি একটা ভাল-নিটোল ঘুম হয়। শারীরবৃত্তীয় কাজ তো ভাল হবেই, তার সঙ্গেই মানসিক ভাবেই অনেকটাই চাঙ্গা থাকা যায় যদি ভাল ঘুম হয়। কিন্তু, সেখানেই সমস্যা। ইদানিং প্রচুর ঘটনা দেখা যাচ্ছে, যেখানে ঘুমের অভাবের কারণে নানা শারীরিক সমস্যার ঘটনা সামনে আসছে। স্লিপ ডিসঅর্ডার (Sleep Disorder) বলা হচ্ছে একে। সারা বিশ্বেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু কেন এমন সমস্যা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাইফস্টাইল সংক্রান্ত কিছু কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। খাবারের ধরন, খাবার খাওয়ার সময় এবং আরও নানা কারণে ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা হয়। ১৭ মার্চ World Sleep Day. এই দিনে একবার দেখে নেওয়া যাক কী কী কারণে ঘুম সংক্রান্ত সমস্য়া হতে পারে।
জীবনযাত্রা কেমন, তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ঘুমের সমস্যা। জীবনযাপনের কারণেই অনেকের ঘুম আসতে দেরি হয়। অথবা প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। তার ফলেই প্রভাব পড়ে শরীরেও। কোন কোন অভ্যাসের জন্য ঘুমের সমস্যা হচ্ছে তা বোঝা খুব জরুরি। তাহলেই ঘুমের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
অনেকেরই চা-কফি খাওয়ার অভ্য়াস রয়েছে। দিনের বেলা অল্পবিস্তর কফি খেলে সমস্যা কিছু নেই। কিন্তু বিকেলের পর থেকে ঘন ঘন কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ঘুম নিয়ে ভুগতে হতে পারে। কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা ঘুম তাড়াতে কাজে লাগে, রক্তে দীর্ঘক্ষণ এর উপস্থিতি থাকায় প্রভাবও অনেকক্ষণ থাকে। রাতের দিকে কফি খাওয়ার অভ্য়াস থাকলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
অলস জীবনযাত্রা ঘুমের সমস্যার অন্যতম কারণ। প্রতিদিন শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে হার্ট রেট ঠিক থাকে। শরীরের তাপমাত্রাও ঠিক থাকে।
যা এন্ডোরফিনস এবং সেরোটনিনের নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। ওগুলি স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং গভীর ঘুম আনতে সাহায্য করে। যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন তাঁদের ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটাই কম থাকে।
পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর খাবার। ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত ক্যালোরিসমৃদ্ধ, চিনি দেওয়া খাবার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।
প্রদাহের সমস্যার পাশাপাশি ওজন বাড়িয়ে দেয় এই খাবার। একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হওয়ার কারণে সমস্যা হয় ঘুমেও।
ভাঙা ভাঙা ঘুম হওয়া, শুয়ে থাকলেও ঘুম না আসার মতো সমস্যা হয় অনেক সময়। এর পিছনে রয়েছে অভ্যাসের সমস্য়াও। প্রতিদিন একই সময়ে না ঘুমোলে নিয়মিত ঘুম আসতে সমস্যা তৈরি হয়। খাবার খেয়েই শুয়ে পড়লে বা প্রবল মদ্যপানের অভ্যাস থাকলেও ঘুমে সমস্যা হতে পারে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -