Zika Virus: জিকা সংক্রমণ কতটা বিপজ্জনক? উপসর্গ কী কী? সতর্ক হবেন কী ভাবে?
কর্নাটকে সামনে এসেছে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা। এক শিশুর আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এর আগে ভরা কোভিড সংক্রমণের মাঝেও মহারাষ্ট্রে জিকা সংক্রমণের খোঁজ মিলেছিল। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গেও জিকা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ফের ঘুরে এল জিকা-আতঙ্ক।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজিকা ভাইরাস মশাবাহিত। মশার মাধ্যমেই এর সংক্রমণ ছড়ায়। এডিস মশা এই ভাইরাসের বাহক। এই মশাই ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের জন্যও দায়ী।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, জিকা ভাইরাসের উপসর্গ সাধারণত অল্প-স্বল্প হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু সময়ে, যেমন কোনও অন্তঃসত্ত্বা জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে তা গুরুতর হতে পারে।
সাধারণত, সংক্রমিত মশা কামড়ানোর পরে ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে জিকা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা যায়। সেটা ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত থাকে।
একাধিক উপসর্গ দেখা যায় জিকা ভাইরাস সংক্রমণে। যার মধ্য়ে প্রধান হল জ্বর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে জ্বর হবে, শরীরে ব়্যাশ বেরোতে পারে।
পেশি এবং গাঁটে ব্যথা হয়। অনেকসময় চোখে ব্যথা হয়, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। মাথা ব্যথাও হয় অনেক আক্রান্তের।
প্রথম থেকেই জিকা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেখানে জিকার প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে, সেখানে খুব প্রয়োজন না হলে না যাওয়া উচিত। অনেক সময় যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোনওরকম উপসর্গ দেখা গেলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। পর্য়াপ্ত পরিমাণে জল-ফলের রস খেতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে।
জিকা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য এখনও কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। আলাদা করে এর জন্য ওষুধও আবিষ্কার হয়নি এখনও। যদিও জিকা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এখনও পর্যন্ত যা তথ্য মিলেছে তাতে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জিকা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা যৎসামান্য। ঠিকমতো চিকিৎসা হলে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে সহজেই সেরে উঠবেন আক্রান্তরা।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। সব ছবি: Pixabay/ Pexels
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -