Relationship Tips: ভালবাসার নামে কেউ ব্যবহার করছেন না তো! বুঝবেন এই লক্ষণ দেখে
ভালবাসা নিঃস্বার্থ বলেই জানি আমরা। তাই উজাড় করে দিই নিজেদের। মনের মানুষকে সুখী করতে কোনও খামতি রাখি না আমরা। কিন্তু ভালবাসায় সাহসী হওয়া আর বোকামি করে বসার মধ্যে সূক্ষ্ম সীমারেখা রয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appযাঁকে মনপ্রাণ উজাড় করে দিচ্ছেন, সেই ব্যক্তি আদৌ আপনাকে ভালবাসেন কিনা, তা বোঝা কঠিন নয়। যতই আবেগ ভাসিয়ে নিয়ে যাক না কেন, খোলা রাখতে হবে চোখ-কান। কিছু লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারবেন, কারও হাতে ব্যবহৃত হচ্ছেন কিনা।
সারাদিন তাঁর কথা ভেবে হয়ত সারা হচ্ছেন আপনি। কিন্তু না ফোন, না মেসেজ। সারাদিনের পর হয়ত রাতে একবার দায়সারা ফোন পান পান তাঁর কাছ থেকে। অথবা কোনও বিপদে পড়ে হয়ত ফোন করেন তিনি। ফোনে যদিও বা কথা হয়, তিনি শুধু নিজের কথা বলে যান। বুঝতে হবে, সময় কাটাতে শুধু আপনাকে ব্যবহার করছেন তিনি।
সম্পর্কে নিভৃতে সময় কাটানো জরুরি। পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া থাকা উচিত। কিন্তু যাঁকে নিয়ে আকাশ কুসুম ভাবছেন, আপনার সঙ্গে সময় কাটানোয় হয়ত কোনও আগ্রহই নেই তাঁর। রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া বা ডেটে যাওয়ার প্রস্তাবই দেন না তিনি। এ ক্ষেত্রে সময় থাকতে সরে আসাই ভাল।
সপ্তাহে একদিন হত ছুটি পান আপনি। তাঁর জন্য সব কাজ ফেলে বসে থাকেন। অথচ ওই দিনটিতেই নিজেজকে ব্যস্ত রাখেন তিনি বা অন্য বাহানা দেখান। কখনও কখন ওহয়ত সত্যিই ব্যস্ত তিনি। কিন্তু নিয়মিত হলে বুঝতে হবে, সামনের জনের কাছে তেমন গুরুত্ব নেই আপনার।
ঘুম থেকে ওঠার পর হোক বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে, ছোট খাটো যে কোনও ঘটনাই হত মেসেজ করে তাঁকে জানান আপনি। ফোন করেন ফাঁকা সময় পেলেই। কিন্তু সেখান থেকে মেসেজের উত্তরও আসে না। ফোন আসে আলেকালে। বুঝতে হবে, আপনার ব্যাপারে তেমন ভাবিত নন তিনি।
সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে হয়ত দিনরাত ভাবছেন আপনি। কিন্তু সেকথা বলতে গেলেই, নানা অছিলায় এড়িয়ে যান তিনি। একথা সেকথা বলে আসল প্রশ্নই ঘুরিয়ে দেন সবসময়। যত তাড়াতাড়ি সরে আসবেন, ততই মঙ্গল।
কোনও রেস্তরাঁয় খেতে গেলেন হয়ত, অথবা কোথাও গিয়েছেন একসঙ্গে। অথচ পাশাপাশি হাঁটতে, হাত ধরতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তিনি। শুধুমাত্র বন্ধ দরজার পিছনেই ঘনিষ্ঠ হতে আগ্রহ দেখান। বুঝতে হবে, প্রকাশ্যে সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে রাজি নন তিনি।
আপনি হয়ত নিজের মন উজাড় করে দিচ্ছেন তাঁর সামনে। সুখ-দুঃখের কথা ভাগ করে নিচ্ছেন। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আপনাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করেন না তিনি। পরিবার, কাজ, তার বাইরের জীবন আপনার থেকে আলাদা রাখেন। এমন চললে এখনই সতর্ক হোন।
সম্পর্ক মানে বিপদে আপদে পরস্পরের পাশে থাকা। কিন্তু আপনার প্রয়োজনে তাঁকে ধারেকাছে পাওয়া যায় না। অথচ যখন তাঁর নিজের প্রয়োজন পড়ে, আপনার কাছে ছুটে আসেন। আপনার থেকে সুযোগ সুবিধা আদায় করে নেন তিনি। দীর্ঘ দিন এমন চললে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -