Relationship Tips: ওষুধের মতো মেয়াদ পেরিয়ে যায় ভালবাসারও, সম্পর্কের আয়ু ধরে রাখতে প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি কিছু
ভালবাসা দিয়ে সব জয় করা সম্ভব বলে ধারণা রয়েছে। সম্পর্কের ভিত্তিও এই ভালবাসাই। কিন্তু সম্পর্ক কি শুধুমাত্র ভালবাসা দিয়ে চলে? একটা বয়সের পর এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে থমকে যেতে হয় আমাদের। উত্তরের খোঁজে যত গভীরে যাই, ততই ঘেঁটে যায় সব তত্ত্ব।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসম্পর্কের ভিত্তি অবশ্যই ভালবাসা। কিন্তু সম্পর্ক বিষয়টি অত্যন্ত জটিল, সে বিবাহিত সম্পর্ক হোক বা প্রেম। তাই দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে শুধু ভালবাসা যথেষ্ট নয়। পরিস্থিতিই চোখে আঙুল দিয়ে তা বুঝিয়ে দেয় আমাদের।
ভালবাসা এবং সামঞ্জস্যের মধ্যে ফারাক বোঝা অত্যন্ত জরুরি। ভালবাসা অত্যন্ত ঘন এক অনুভূতি, যাতে আবেগ এবং আকর্ষণ কাজ করে। সামঞ্জস্য হল পারস্পরিক মূল্যবোধ, লক্ষ্য এবং কথোপকথন। ভালবাসা যখন ফিকে হয়ে গেলেও, এই সমাঞ্জস্যই জুড়ে রাখে দু’জন মানুষকে।
সম্পর্কের জটিলতা শুধুমাত্র ভালবাসা দিয়ে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। দু’জন মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ, টান তৈরি হতে ভালবাসা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া, পারস্পরিক প্রচেষ্টা এবং অবশ্যই কিছু কিছু জায়গায় আপসের প্রয়োজন পড়ে।
অনেক সময় পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। পরিবারের মধ্যে থেকেই আসতে পারে চ্যালেঞ্জ। আবার বাইরে থেকেও আসতে পারে। তাতে অনেক সময় পারস্পরিক সমীকরণই বদলে যায়। শুধুমাত্র ভালবাসা দিয়ে তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক সমস্যা, স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা, অতীত অনেক সময় এই ভালবাসাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। সে ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া অত্যন্ত জরুরি।
বয়সের নিরিখে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও, দু’জন মানুষের মানসিকতা সমান হয় না। একজনের মধ্যে যদি ছেলেমানুষি থাকে, একটা সময়ের পর অন্য জন ক্লান্ত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করা, দায়-দায়িত্ব সামলানো তাঁর একার পক্ষে সম্ভব হয় না। ফলে একটা সময় পর হাত তুলে নেন তিনি। বাড়তে থাকে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব।তাই দু’জন মানুষের চিন্তাভাবনায় মিল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। দায়-দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হেব নিজেদের মধ্যে।
ভালবাসা যতই গভীর হোক না কেন, আমাদের কারও কারও মধ্যে অহংবোধ একটু বেশি কাজ করে। তাতে দু’জনের মাঝে অদৃশ্য দেওয়াল উঠতে সময় লাগে না। বন্ধ হয়ে যায় কথাবার্তা, যা সম্পর্কের আয়ু কমিয়ে আনে। তাই সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে গেলে ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষমা করে দেওয়ার অভ্যাসও রপ্ত করতে হয়।
একছাদের নীচে বসবাস, এক ঘরে পাশাপাশি থাকাই সম্পর্ক নয়। বিপদের সময় পরস্পরের পাশে থাকাই সম্পর্ক। এক্ষেত্রে মানসিক ভাবে পরস্পরকে সাহস জোগানো অত্যন্ত জরুরি, যাতে সামনের জন আশ্বস্ত হতে পারেন যে, গোটা পৃথিবী একদিকে হয়ে গেলেো, একজন মানুষকে পাশে পাবেন তিনি, যিনি কথআ শুনবেন এবং বুঝবেন। দুঃসময়ে সঙ্গীর মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভ্যাস, ভেঙে দিতে পারে সম্পর্ক।
সম্পর্কে যত টানাপোড়েনই এসে উপস্থিত হোক না কেন, পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কাম্য, যাতে যে কথা কাউকে বলা যায় না, নির্দ্বিধায় তাঁকে বলতে পারেন। সামনের জনও তা দিয়ে আপনার দোষ-গুণ বিচার করতে বসবেন না, বরং কথা শুনবেন, বুঝবেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। নিজেদের কথা চারকান না করে, পরস্পরের বন্ধু হয়ে ওঠা তাই প্রয়োজন।
কায়াহীন ভালবাসা মায়া, এমনি এমনি এই প্রবাদের জন্ম হয়নি। সম্পর্কে শরীর অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু দু’জন মানুষের শারীরিক চাহিদা আলাদা। সেই পৃথক চাহিদাকে সম্মান জানাতে হবে। কারণ শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে মনও, যার উপর কোনও জোর খাটে না। আবার যত দূরত্ব বাড়ে, ততই ফাটল চওড়া হয় সম্পর্কের। ডিসক্লেইমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -